নাজিম হাসান,রাজশাহী………………………………………………….
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় বন্ধ হয়ে যাওয়া নন এমপিও বেলপুকুরিয়া নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে জমি আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। স্কুল বন্ধ হয়ে গেলেও সেই জমি ফেরত দেওয়ার বিষয়ে স্টাম্পে চুক্তি থাকলেও জমি ফেতর দিচ্ছেনা বলে অভিযোগ ।
ভুক্তভোগী আলহাজ্ব সামসুল হক, আব্দুল জব্বার, রুস্তম এবং হাওয়া বেগম বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন সুফল পায়নি। জানা গেছে,জলার পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুরিয়া বাজারে ১৯৯৮ সালে বেলপুকুরিয়া নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। সে সময় স্কুলের এমপিও করার জন্য নিজস্ব জমি থাকার নিয়ম ছিলো। কিন্তু স্কুলের সেই পরিমাণ জমি ছিলেনা। সে সময় ১৫ ফেব্র“য়ারী ২০০০ সালে স্কুলের সরকারী রেজিষ্টার, বেতন-ভাতা ইত্যাদি পাওয়ার পর ফেরত শর্তে স্টাম্পে চুক্তিপত্র সম্পাদন হয়। তারপর আলহাজ্ব সামসুল হকের নিকট থেকে বেলপুকুরিয়া মৌজার ১০৬, ১০৭ এবং ১০৮ নং দাগে সাড়ে ২৪ শতক স্কুলের নামে জমি রেজিষ্টার করে দেন। ছাত্রী না থাকায় ২০১৭ সালে স্কুলটি বন্ধ হয়ে যায়। তারপর থেকে প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন উজুহাতে জমি ফেতর দেওয়ার মিটিং দিলেও উপস্থিত থাকেন না।
এলাকার আব্দুল জব্বার জানান, আমাদের দুই ভাইয়ের চাকুরী দেওয়ার নামে আমার আব্বার নিকট থেকে ১০ কাঠা জমি লিখে নেয়। এছাড়া একই এলাকার মোঃ সামুসুল হকও জমি দিয়েছে স্কুলের নামে, কিন্তু সেই জমিও ফেরত দিচ্ছেনা। আলহাজ্ব মোঃ সামুসুল হক জানান, আমি জমি দিয়েছিলাম স্কুলের স্বার্থে। কিন্তু সেই জমি আমার ভোগ দখলেই আছে। আর স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমার উক্ত জমির কাগজপত্রদি এবং রেজিষ্টার তাদের নিকট থেকে ফেরত চাইলে প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন তাল বাহানা করেতে থাকে। আমি বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছি। সেই জমির রেজিষ্টার ফেরত পেতে, জমি আমি গোরস্থানের নামে দিয়ে দেব।
তৎকালীন স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুুল জলিল জানান, যাদের কাছ থেকে জমির দলিল করে নিয়েছে তাদেরকে জমির দলিল ফেরত দেওয়ার চুক্তি নামাও রয়েছে। কিন্তু প্রধান শিক্ষক ফেরত দিচ্ছেনা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক জাবেদ আলী জানান, আমাদের স্কুল চালু রয়েছে। পাটদান সহ সকল কাগজপত্রাদি রয়েছে। যাদের কাছ থেকে জমি নিয়েছি, তাদের জমি ফেরত দেওয়ার সুযোগ নেই। স্কুল যদি কখনো বন্ধ হয়ে যায় তখন চিন্তা করবো, জমি ফেরত দেওয়ার বিষয়ে।#