সুমন রাজ/মমিনুল ইসলাম মুন………………………………………….
রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ এবং জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক আয়েন উদ্দীনের দখলদারি ও নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে বক্তব্য দেওয়ায় মোহনপুর উপজেলা কৃষক লীগের মহিলা সম্পাদক শেখ হাবিবাকে পিটিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। এবিষয়ে তারা দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এর আগেও এমপি আয়েন উদ্দিনের দখলবাজি, মনোনয়ন বাণিজ্য, দলের পদ বাণিজ্য ও সাম্প্রদায়িক গালি দেয়াসহ নানা অনিয়ম-দূর্নীতির একাধিক খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, গত ২৩ নভেম্বর বুধবার দুপুরে মোহনপুর উপজেলা চত্বরে এমপি আয়েন উদ্দীনের (সাবেক) পিএস একরামুল হক বিজয়ের নেতৃত্বে প্রকাশ্যে তাকে বেধড়ক মারপিট ও টানা-হেঁচড়ায় প্রায় বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে ভুক্তভোগী এই নেত্রী সেখানেই অনশনে বসেন। এরপর তাকে আবারো পেটাতে পেটাতে মোহনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নিয়ে আটকে রাখা হয়। পরে পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করা হয়। এর আগে একই ঘটনার জেরে হাবিবাকে দুই দফা পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগও রয়েছে এমপি আয়েনের বিরুদ্ধে বলে এলাকায় আলোচনা রয়েছে।
এবিষয়ে হাবিবা জানান, ‘তিনি দুপুরে উপজেলা চত্বরে এলে বিনা কারণে এমপি আয়েন উদ্দীন ও তার দুলাভাই উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুস সালামের উপস্থিতিতে এনামুল হক বিজয় তাকে পেটাতে থাকেন। পিটিয়ে তাকে রেখে চলে গেলে হাবিবা প্রতিবাদ জানিয়ে সেখানেই অনশনে বসে পড়েন। পরে বিকেলে আবারো বিজয়ের নেতৃত্বে কয়েকজন এসে টেনে-হিঁচড়ে ও পেটাতে পেটাতে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নিয়ে আটকে রাখে।আহত ওই নেত্রী রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
এবিষয়ে এমপি আয়েন উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। কারা হাবিবাকে মেরেছে বলতে পারবো না।।#