নাজিম হাসান,রাজশাহী …………………………………………………………………
রাজশাহীর বাগমারার রপ্তানী পন্যের তালিকায় আলু, পিয়াজ,পান ও মাছের পর এবার যুক্ত হয়েছে মূলা। বাগমারায় উৎপাদিত উন্নত জাতের এই মূলা এলাকার চাহিদা মিটিয়ে এখন রাজধানী ঢাকা ও সিলেটে রপ্তানী হচ্ছে। এতে মূলা চাষীরা পাচ্ছে ন্যায্য মূল্য। সেই সাথে মূলার কারবার করে আর্থিক স্বাচ্ছলতা পেয়ে স্বাবলম্বী এলাকার বেকাররা।
মূলা চাষী ও ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে, এবার বাগমারায় গ্রীস্ম মৌসুমে প্রায় পাঁচশ হেক্টর জমিতে মূলার আবাদ হয়েছে। এখানে উৎপাদিত মূলার অধিকাংশই হাইব্রীড জাতের। প্রতি বিঘায়(৩৩শতক) এসব মূলার উৎপাদ হয় প্রায় ৬০ থেকে ৭০ মণ। বাজারে এখন প্রতি মণ মূলা মানভেদে ৪শ থেকে ৬শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এলাকার শিকদারী, তাহেরপুর, মোহনগঞ্জ মচমইল হাটে বাপক মূলা আমদানী হয়। সপ্তাহের বিভিন্ন দিন এসব স্থানে হাট বসে। ঢাকা সিলেট থেকে বেপারীরা আসেন এখানে মূলা কিনতে।
সিলেটের মূলা বেপারী সুরাত আলী জানান, প্রতি শনি ও মঙ্গলবার শিকদারী থেকে তিনি মূলা ক্রয় করেন। বর্তমানে প্রতি মণ মূলা ৪শ থেকে ৬শ টাকা দরে ক্রয় করছেন। এই মূলা তিনি সিলেটের বাজারে ১৫শ থেকে ১৬শ টাকা দরে বিক্রি করবেন। সকল খরচ বাদে প্রতি ট্রাক মূলায় তার ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা লাভ টিকে। একই বাজারের শ্রমিক আয়নাল ও বেলাল জানান, প্রতি বস্তা (৬০ কেজি) মূলা ক্রয় সটিং ও বস্তায় ভরে ট্রাকে তুলে দিলে বস্তা প্রতি ৪০ টাকা পান। এভাবে দিন শেষে তাদের আটশ থেকে হাজার টাকা ইনকাম হয়। বছর জুড়েই সবজি হাটে শ্রম দিয়ে তাদের সংসার চলে। #