1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Rokon :
মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:৫২ অপরাহ্ন

অর্থাভাবে হার্টের চিকিৎসা হচ্ছেনা ৩বছরের তুবার

  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫
  • ৫৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

৥ বিশেষ প্রতিনিধি:  বাঁচার আকুতি ৩ বছরের লামিয়া আক্তার তুবার। জন্মের পর থেকে প্রায় অসুস্থ। ঔষধ খাওয়ালে কিছুদিন ভালো থাকে,পরে আবার অসুস্থ হয়ে পড়ে । চিকিৎসকরা জানিয়েছেন হার্টের নালীর সাথে রক্তের নালী এক হয়ে গেছে তার। কিন্তু তার বাবার স্বল্প আয়ের টাকা দিয়ে ব্যয়বহুল চিকিৎসা করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন টাকার অভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না তার। মা-বাবার এমন কোনো সম্পত্তি নেই যে, তা বিক্রি করে হলেও মেয়ের চিকিৎসা শুরু করাবেন।

লামিয়া আক্তার তুবা বাঘা উপজেলার বাঘা পৌর সভার বাজুবাঘা গ্রামের বাসিন্দা হাসিবুল ইসলাম(লালন) এর একমাত্র মেয়ে। সবজি ব্যবসায়ী হাসিবুলের আয়ে চলে ৫সদস্যর সংসার। চিকিৎসকের ব্যবস্থা পত্র ও পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে রাজশাহীর বারিন্দ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল লিঃ এর শিশু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ আব্দুর রহিমকে দেখানোর পর হার্টের নালীর সাথে রক্তের নালী এক হয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে পারেন। ওই চিকিৎসক ব্যবস্থাপত্রে ঔষধ লিখে ঢাকার মিরপুর-২,ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে নিয়ে প্রফেসর শরিফুজ্জামানের নিকট দেখানোর পরামর্শ দিয়েছেন। তবে টাকার অভাবে তাৎক্ষনিক যেতে পারেননি।

বিভিন্ন জনের সাহায্য সহযোগিতায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে তুবাকে দেখান। সেখানে ভাইরাস ধরা পড়ে। চিকিৎসকরা ভাইরাসের চিকিৎসার পর অপারেশনের পরামর্শ দেন। এরই মধ্যে আবারো অসুস্থ হয়ে পড়লে ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক, দ্রুত অপারেশন করে হার্টের নালী ও রক্তের নালী আলাদা করতে বলেছেন। এতে প্রচুর টাকার প্রয়োজন।

প্রতিবেশি আমিরুল ইসলাম উদ্দীন জানান, এমনিতেই অভাব-অনটনে সংসার চলে টানাপোড়নে। এর মধ্যে মেয়ের হার্টের সম্যসা ধরা পড়ায় হতাশ হয়ে পড়েন মা-বাবা। গ্রামের লোকজন চাঁদাতুলে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। এখন তার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। ব্যয়বহুল চিকিৎসায় উপার্জনহীন পরিবারের এখন চোখের সামনে কেবল করুণ দৃষ্টিতে মেয়ের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই ।

হাসিবুল ইসলাম জানান, মেয়েকে নিয়ে এমন এক অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছি, মনে হচ্ছে চোখের সামনে বিনা চিকিৎসায় মেয়েটিকে হারিয়ে ফেলবো। ক্ষণে ক্ষণে এই কথাটি মনে পড়লে চোখ বেয়ে পানি ঝরতে থাকে। পৌরসভাসহ কতিপয়দের সহযোগিতা পেলেও ব্যয়বহুল চিকিৎসার পুরো টাকা এখনো যোগাড় হয়নি তার।

মেয়ের চিকিৎসার জন্য আকুতির সাথে হাসিবুল বলেছেন, দেশে অনেক মানবিক হৃদয়ের বিত্তবান মানুষ রয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্তত কয়েকজন মানুষ আমার মেয়ের পাশে দাঁড়ালে হয়তো মেয়ের চিকিৎসা করাতে পারবো। তাই দেশের মানবিক হৃদয়ের বিত্তবান মানুষের কাছে অনুরোধ করছি আর্শীবাদ হয়ে হলেও কেউ যেন অন্তত আমার মেয়ের চিকিৎসার জন্য পাশে দাঁড়ান। কারো কোনো সহযোগিতা না পেলে হয়তো চোখের সামনেই মেয়েকে মারা যেতে হবে। বিকাশ নম্বর (হাসিবুল-০১৭৭৪২২৮০৫৮)।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট