পঞ্চগড় প্রতিনিধি: মাত্র এক বছরে পবিত্র কোরআনের ৩০ পারা মুখস্থ করে হাফেজা হয়েছেন পঞ্চগড়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী হাবিবা আক্তার বৃষ্টি। ব্যতিক্রমী এই অর্জনের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে দেওয়া হয়েছে রাজকীয় বিদায়।হাবিবা সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের উত্তর ডাংগাপাড়া গ্রামের হাসিবুল ইসলামের মেয়ে।
শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে সদর উপজেলার চাকলাহাট এলাকার হাবিবা জান্নাত মদিনাতুল উলুম বালিকা হেফজ মাদরাসায় হাফেজা হাবিবাকে সংবর্ধনা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মাদরাসা চত্বরে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকাবাসী স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
মাদরাসা সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের মে মাসে হাবিবা হেফজ বিভাগে ভর্তি হয়। কঠোর অধ্যবসায়, শিক্ষকদের নিষ্ঠা এবং পরিবারের সহায়তায় মাত্র এক বছরে হাফেজা হয়ে ওঠে সে। হাবিবার এ অর্জনে শিক্ষক ও অভিভাবক মহলে আনন্দের জোয়ার বইছে। অনুষ্ঠানে হাবিবাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয় এবং তাকে মালা পরিয়ে বিভিন্ন উপহারসামগ্রী দেওয়া হয়। পরে সুসজ্জিত একটি মাইক্রোবাসে তাকে বসিয়ে মোটরসাইকেল ও গাড়িবহরের মাধ্যমে রাজকীয়ভাবে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়।
হাফেজা হাবিবা আক্তার বলেন, “আমাদের মাদরাসার শিক্ষকরা অনেক আন্তরিক। তাদের সহযোগিতাতেই আমি এক বছরে কোরআনের হাফেজা হতে পেরেছি। ভবিষ্যতে একজন আলেমা হয়ে ইসলামের সেবা করতে চাই। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।”
তার বাবা হাসিবুল ইসলাম বলেন, “আমার মেয়ের এই অর্জনে আমরা খুবই আনন্দিত। অল্প সময়ে হাফেজা হওয়া সম্ভব হয়েছে মাদরাসার ভালো পরিবেশ ও শিক্ষকদের সহায়তায়। আমরা কৃতজ্ঞ।” মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক হাফেজ মো. আব্দুস সালাম জানান, ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই মাদরাসায় বর্তমানে ৬৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। হাবিবার মতো আরও পাঁচজন শিক্ষার্থী আগামী তিন-চার মাসের মধ্যে হেফজ সম্পন্ন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। চাকলাহাট কেপি আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ এ আর এম শহিদুল ইসলাম বলেন, “নারীদের ইসলামিক শিক্ষায় এগিয়ে নিতে এমন উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। হাবিবা আজকে অত্যন্ত সুন্দরভাবে কোরআন তেলাওয়াত করেছে। আমরা তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।#