মোঃ আলফাত হোসেনঃ বিচার ও সংস্কার তরান্বিত করে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা সরকারের অগ্রাাধিকার হতে হবে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে সরকারের ব্যর্থতা গ্রহণযোগ্য নয়। নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচন ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদে’র নির্বাচনের দাবিতে গণসংহতি আন্দোলন খুলনা জেলা কমিটির উদ্যোগে আজ ২৮জুন শনিবার বেলা ১২টায় জেলা কার্যালয়ে এক বাছাইকৃত কর্মীদের এক কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আহবায়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল এবং সঞ্চালনা করেন জেলা সদস্য আল আমিন শেখ। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমম্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
সভায় বক্তব্য রাখেন, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা যুগ্ম আহবায়ক মোঃ অলিয়ার রহমান শেখ, সদস্য টিপু সুলতান, নাদিরা বেগম, খালিশপুর থানা আহবায়ক মোঃ মোশারেফ হোসেন, অভয়নগর উপজেলা আহবায়ক রাফেজা বেগম, সদস্য সচিব সামস সারফিন সামন, শিক্ষক আবদুল রাজ্জাক মোল্লা, কবি নাজমুল তারেক তুষার, আলাউদ্দীন খান, সাগর চ্যাটার্জী, সাতক্ষীরা জেলা সংগঠক মোঃ আলফাত হোসেন প্রমুখ।
সভায় জোনায়েদ সাকি বলেন, অন্তর্বতীকালীন সরকারকে বিচার ও সংস্কার তরান্বিত করে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে মনোযোগী হতে হবে। সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো মানুষের বিরাট উদ্বেগের কারণ হয়ে আছে। মব সন্ত্রাস, উদ্দেশ্যমূলক মামলাবাজী, পুলিশের বহু ক্ষেত্রে নিস্ক্রিয়তা গণ-অভ্যুত্থানের অর্জনকে ম্লান করে তুলছে।
জোনায়েদ সাকি বলেন, মব সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতা গ্রহনযোগ্য নয় এবং শুধু বিবৃতি দিয়ে দায় এড়ানো যাবে না। বিচারের আগেই মব সৃষ্টি করে হেনস্তার মাধ্যমে অপরাধীর বিমানবিকরণের যে উদাহরণ সৃষ্টি হচ্ছে, তা মোটেই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার কোনো দৃষ্টান্ত নয়। বিচারের নামে কোনো প্রহসন কিংবা মব বিচার যাতে আর কোনোভাবেই চলতে না পারে, সে জন্য সরকারকে অবিলম্বে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।
সারাদেশে সন্ত্রাস, রাহাজানি বৃদ্ধিতে উদবেগ প্রকাশ করে জোনায়েদ সাকি বলেন, খুলনায় গত এক মাসে একর পর এক খুন, হত্যা, গুলিবিদ্ধ, ধর্ষন ও লাশ উদ্ধারের ঘটনা রীতিমতো আতংকজনক। নাগরিকদের নিরাপত্তা বিধানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতা জবাবদিহির আওতায় আনা না গেলে কার্যকর ভূমিকা পাওয়া যাবে না। সভায় জোনায়েদ সাকি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তো প্রতিষ্ঠা ও মৌলিক সংস্কারকে টেকসই করতে হলে আগামী জাতীয় নির্বাচন হতে হবে ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদে’র নির্বাচন। সেই লক্ষ্যে গণসংহতি আন্দোলনকে জনগণের মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
সভায় সংগঠন জোরদার করা এবং আগামীতে গণমানুষের সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ভুমিকা রাখতে সংগঠনকে প্রস্তুত করার বিষয়ে আলোচনা হয়।#