1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
তানোরে আলুর বীজ নিয়ে মহা সিন্ডিকেট দিশেহারা চাষীরা! খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়  বাগমারার হাটগাঙ্গোপাড়া মডেল প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক কমিটি গঠন বাংলাদেশ জার্নালিস্ট প্রটেক্ট কমিটির সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য অ্যাডভোকেসি কর্মশালা  সিংড়ায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত বটিয়াঘাটা প্রেস ক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠন কম্পিউটার কী বোর্ডের মাধ্যমে রাজশাহীতে পাহাড়িয়াদের মাতৃভাষার লিখন পঠন কার্যক্রম উদ্বোধন সিংড়ায় মাদরাসা দারুস সুন্নাহ বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ সি ইউ সি সংগঠনের সামাজিক কর্মকান্ডে অবদান রাখায়  রোটারিয়ান ইফতেখার আলী বাবুকে সংবর্ধনা ডুমুরিয়ায় শওকত মোল্যা স্মৃতি উন্মুক্ত পাঠাগারের আয়োজনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতি  অনুষ্ঠান 

রাজশাহী অঞ্চলে খাদ্য দ্রব্যরে চরম উর্দ্ধগতি

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৫ আগস্ট, ২০২২
  • ৯৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

নাজিম হাসান……………………………

রাজশাহীতে ভেজাল খাদ্যে সয়লাভ বাজার, নেই বাজার তদারকির ব্যাবস্থা। আগে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হলেও বর্তমানে মাছ, সবজি ও ফল বাজারে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে সে কার্যক্রম। ভেজাল ও নকল পণ্যে ভবানীগঞ্জ সদর ও তাহেরপুরসহ সর্বত্র বাজার গুলো সয়লাব হয়ে পড়েছে। এসব পন্য ক্রেতাদের হাতে তুলে দিচ্ছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা। গুণগত মানের দিক থেকে এসবে পণ্য নি¤œ মানের এবং অধিকাংশই জীবাণু যুক্ত। এসব খাদ্য খেয়ে মানুষের মধ্যে নানা ধরণরে রোগ বালাই ছড়িয়ে পড়ছে।

এদিকে,সারাদেশে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে পরিবহন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় হুহু করে বাড়ছে সকল পণ্যের দাম। এর প্রভাব পড়েছে রাজশাহীর বাজার গুলোতে । সপ্তাহের ব্যবধানে রাজশাহীতে বেড়েছে সকল নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম। মাছ, মুরগি ও ডিমের সাথে তাল মিলিয়ে বেড়েছে সবজির দাম। ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজিতে,গত সপ্তাহের চেয়ে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে করোলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা , এ সপ্তাহে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ঢেঁড়স যা গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ১০ টাকা বেশি, পেয়াজ কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা , ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে এ সপ্তাহে মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা কেজিতে।

 

এছাড়া প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে ৫-১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারণ মানুষের নিত্য ব্যবহারয্য যেমন, আটা,ময়দা, মাছ মাংশ, তেল, চিনি, লবণ ইত্যাদি খাদ্য গ্রহন যেন সকলেরই গাসয়া হয়ে গেছে। গরুর মাংশের সাথে মহিষের এবং খাসির মাংশের সাথে ভেড়ার মাংশ মিশিয়ে বিক্রয় করা হচ্ছে বাজারে। পঁচা মাছে লাল রং ছাপিয়ে তাকে সতেজ রুপ দিয়ে বিক্রয় করা হচ্ছে আহরহ। চালের সাথে পাথরের কণা, সর্ষের তেলের টিনে মবিল তেল, ঘি, মাখনে পশুর চর্বি। সয়াবিন তেলে অশোধিত পাম তেল সহ ভেজাল লাচ্ছা সেমাই ভবানীগঞ্জসহ উপজেলার সর্বত্র বাজার সয়লাব হয়ে পড়েছে। এই ভেজাল সেমাইয়ের উৎপাদন মান যেমন নি¤œ মানের তেমনি উৎপাদিত মান সম্পন্ন খাদ্য আবার হাত বদলের মাধ্যমে বিভিন্ন ভাবে ভেজাল মিশানো হয়। যাতে উৎপাদন এবং মেয়াদ উর্র্ত্তীর তারিখ অনুমোদিত কারখানা ও মোড়ক উল্লেখ না থাকা এবং ঐ সেমাই কি উপাদান দিয়ে তৈরী তা কোন কিছুই উল্লেখ করা নেই। তা স্বর্তেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে নিরবিগ্নে বাজার জাতের চলছে এক মহা উৎসব। কার্বহাইড্রের ধুয়ায় পাকানো কলা তার স্বাভাবিক চেহারা ও চরিত্র হারায় ।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছক কয়েকজন ব্যবসায়ী অবশ্য বাজারে ভেজাল খাদ্যদ্রব্য বিক্রয় করার কথা স্বীকার করেছেন। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন। এসব খাদ্যদ্রব্য তাদের হাতে এসে পৌছার আগেই ভেজাল মেশানো হয়ে যায়। ফলে জেনেশুনে ভেজাল খাদ্যদ্রব্য বিক্রয় করতে বাধ্য হয় তারা। উপজেলার মাংশ বিক্রেতারা যততত্র ও অস্বাস্থকর পরিবেশে পশু জবাই করছে বলে পরিবেশ যেমন দূষিত হচ্ছে তেমনি ছড়াচ্ছে নানা ধরনের রোগ। পশু জবাইয়ের ক্ষেত্রেও স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের চরম উদাশিনতায় মাংশ বিক্রেতারা অপ্রাপ্ত অধিক বয়স এবং রোগাক্রান্ত পশু জবাই দীর্ঘ সময় ধরে করে আসলেও এই সংক্রান্ত স্থানীয় সংশ্লিষ্ট বিভাগটি একেবারেই নিরব বলে ক্রেতাদের অভিযোগ।

 

নিয়ম অনুয়ায়ী স্থানীয় সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্তকর্তার উপস্থিতিতে কেবল সরকারি জবাইখানাতেই পশু জবাই করতে হবে। উপস্থিত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জবাই করা পশুর মাংশে সং¤িøষ্ট বিভাগের সিলে মহর লাগিয়ে দেওয়ার পরই তা বাজারে বিক্রয় করার অনুমদোন পায়। কিন্তু মাংশের বাজার গুলোতে কোথাও এই নিয়ম মানা হচ্ছে না। ফলে অহরহ ঠকতে হচ্ছে ক্রেতাদের। খাদ্য দ্রব্যের মান অনুমোদন বাধ্যতামূলক হলেও লাইসেন্স বিহিন বি.এস.টি.আই এর অনুমোদন না নিয়েই এই সব ভেজাল সেমাই কারখানায় পণ্যের মোড়কে বি.এস.টি.আই এর সীল ব্যবহার করে ক্রেতাদের প্রতারিক করা হচ্ছে বলে ক্রেতাদের অভিযোগ।

 

এলাকার তথ্যাভিঙ্গ মহলের বক্তব্য প্রশাসনের নাকের ডগাই এসব প্রতিষ্ঠান ভেজাল সেশাই সহ অন্যান্য খাদ্যের ব্যবসা করলেও এদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছেনা। এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা এসব ব্যবসায়ীর কাছ থেকে নিয়মিত উৎকচ গ্রহণ করে থাকে বলে ঐ সূত্র জানান। ফলে ভোক্তারা বাধ্য হয়েই অনেক অখাদ্য গলদ করণ করছেন। সব মিলিয়ে সবত্র বাজার গুলোতে চলছে ভেজালের এক মহা উৎসব। তবে এবিষয়টি নিরসন ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনে জন্য সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট