1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Rokon :
রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ১০:০৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
বাঘায় মায়ের ঈদুল ফিতরে আর কোরবানির ঈদে কন্যার জন্ম রাজশাহী অঞ্চলবাসীকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’র – কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক ও রাজশাহী অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক ইমরান ইমন ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপি’র নেতা মোঃ পারভেজ ভালোবাসলেই সবার সাথে ঘর বাঁধা যায়না, হাজার বছর পাশে থাকলেও কেউ কেউ আপন হয়না…… পঞ্চগড়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের চেকপোষ্ট বসিয়ে তল্লাশি  ভূরুঙ্গামারীতে বিয়ের ৩ সপ্তাহের মাথায় নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছে শিবগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহা আব্দুল বাতেন বাঘায় গরু কেনা প্রায় শেষ, এখন ছাগলে তোড়জোড়, সরকারি রেটে খাজনা আদায়ে স্বস্তিতে ক্রেতা-বিক্রেতা বাঘায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বাপার বৃক্ষরোপণ

রাজশাহীতে মাছের বাজারে আগুন, বেড়েছে মুরগি ও সবজির দাম

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১২ আগস্ট, ২০২২
  • ১৭২ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

আবুল কালাম আজাদ ……………………….

সারাদেশে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে পরিবহন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় হুহু করে বাড়ছে সকল পণ্যের দাম।

 

এরপ্রভাব পড়েছে রাজশাহীর বাজার গুলোতে ।সপ্তাহের ব্যবধানে রাজশাহীতে বেড়েছে সকল নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম। সপ্তাহের শেষ দিন শুক্রবার রাজশাহীর মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে সকল প্রজাতির মাছে কেজিতে  বিক্রি হচ্ছে ১০০-১৫০ টাকা বেশি দরে ।

 

গত সপ্তাহের চেয়ে ৩০থেকে ৪০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে মিরকা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকা , রুই মাছ ৭০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা, পূর্বের দামের চেয়ে ৭০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে বাটা মাছ  বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা, ৩০০ টাকা কেজিতে বৃদ্ধি পেয়ে চিংড়ি মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ টাকা,  ১৫০ টাকা বেড়ে পাবদা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা, ১০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে টেংরা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা এবং ২০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে গুচি মাছ বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকা কেজিতে।

 

রাজশাহীর মাছ বাজারে মাছ কিনতে আসা  সুলতানা নামের এক গৃহিণী জানান, মাছের বাজারে আগুন লেগেছে। প্রতিটি মাছের দাম কেজিতে সর্বনিম্ন ১০০ টাকা টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। মাছের দাম এতোটা বেশি হলে আমরা মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত আয়ের মানুষ হয়তো মাছ কিনে খেতে পারবো না কারণ আমাদের আয় রোজগারতো বাড়েনি।

 

মাছ বিক্রেতা রহমান আলী জানান, চাহিদার তুলনায়  মাছ সরবরাহ নাই।  আড়তদারেরা মাছ দিচ্ছে না এবং আমাদের কাছে থেকে বেশি দাম নিচ্ছে।  কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে পরবহন খরচ বেশি হচ্ছে এ কারনেই বাইরে থেকে মাছ আমদানী কম হচ্ছে ।তার কারনেই দাম বেশি ।

 

শহরের বাজার ঘুরে দেখা যায় মুরগীর বাজারেও একই অবস্থা। ব্রয়লার মুরগী কেজতে ৪০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায় , ৩০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ টাকায় ।তবে অপরিবর্তিত রয়েছে দেশি মুরগির দাম, বিক্রি হচ্ছে ৪২০ টাকা কেজিতে।

 

নওদাপাড়া বাজারে মুরগি কিনতে আসা সোহাগ জানান, সবকিছুর দাম যদি এভাবে বাড়তে থাকে তাহলে আমরা চলবো কি করে। হঠাৎ বাজারে এসে দেখছি মুরগি কেজিতে ৩০-৪০ টাকা বেশি। মুরগির দাম এভাবে বাড়তে থাকলে আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ হয়তো মুরগির মাংশ আর কিনে খেতে পরবো না।

 

মুরগি বিক্রেতা মামুন জানান, আমদানি কম থাকার কারণে এ সপ্তাহে মুরগির দামটা বেশি। তাছাড়া জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে পরিবহন খরচ বেশি লাগছে তাই দামটা বেশি।

 

এছাড়াও সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজার ঘুরে দেখা গেছে বেড়েছে ডিমের দাম । গত সপ্তাহের চেয়ে হালিতে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে লাল ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪২-৪৫ টাকা  হালিতে। ডিম কিনতে আসা করিম মিয়া জানান, ডিমের দাম হালিতে হঠাৎ ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। একটা ডিমে ২ টাকার বেশি বৃদ্ধি মেনে নেওয়া যায়না।

 

এদিকে মাছ, মুরগি ও ডিমের সাথে তাল মিলিয়ে বেড়েছে সবজির দাম। ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজিতে,গত সপ্তাহের চেয়ে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে করোলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা , এ সপ্তাহে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ঢেঁড়স যা গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ১০ টাকা বেশি, পেয়াজ কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা , ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে এ সপ্তাহে মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা কেজিতে। এছাড়া প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে ৫-১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

সবজি ক্রেতা ফরিদ জানান, প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে বাজারে এসে অবাক হয়ে যাচ্ছি। এভাবে যদি দাম বাড়তে থাকে তাহলে হয়তো আমার মতো নিম্ন আয়ের মানুষের সবজি কেনা এখন সামর্থের বাইরে । সবকিছুর দাম বেড়েছে কিন্তু আয়তো বাড়েনি।

 

সবজি বিক্রেতারা জানান, আমাদের মালের আমদানি কম এ কারনে প্রতিটি সবজির দাম বেশি। তাছাড়া জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারনে পরিবহন খরচ বেশির কারনে সবজির দাম বেড়েছে।

 

এছাড়া বাজারে গরুর মাংশ দাম না বাড়লেও বেড়েছে খাসির মাংসের দাম।হচ্ছে ৬৫০ টাকা কেজিতে এবং খাশির মাংশ বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ টাকা কেজি দরে। তবে বজারে মুদিপণ্যের দাম স্থিতীশীল রয়েছে ।

 

মুদি দোকানদাররা জানান, এখন পর্যন্ত তেলের দাম আমরা বাড়াইনি। পূর্বের মূল্যেই আমরা সয়াবিন তেল বিক্রি করছি তবে কয়েকদিনের মধ্যে তেলের দামও বেড়ে যাবে।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট