# মেহেরুল ইসলাম, লালপুর প্রতিনিধি..
নাটোরের লালপুর উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামে অবস্থিত শ্রী শ্রী ফকির চাঁদ গোঁসাইজির আশ্রমের গিয়ে জোরপূর্বক জমি দখল সহ পুকুরের মাছ মেরে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ ১১ জনকে অভিযুক্ত করে নাটোরে সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে এই মামলা দায়ের করেন ওই আশ্রমটির সভাপতি সঞ্জয় কুমার কর্মকার। মামলা নং- ১৯/২০২৫।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর ৪৪ নং মৌজায় অবস্থিত শ্রী শ্রী ফকির চাঁদ গোসাই আশ্রমটি ১৩.৪৭ একর জমির উপর অবস্থিত। যেখানে আম ও কাঁঠাল সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছের বাগান,ফসলি জমি ও মাছ সহ পুকুর রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার জন্য গত ৩০/০৫/২০২৩ হইতে ১৩/১২/২০২৮ সাল পর্যন্ত ৫ বছর মেয়াদী ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি বর্তমান আছে। মামলার বাদী সঞ্জয় কুমার সরকার উক্ত কমিটির সভাপতি হিসেব দায়িত্বে রয়েছে।
মামলার বিবাদীগণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মেহেদী হাসান এর যোগসাজশে গত ১২/০১/২০২৫ তারিখ সকাল ১১ টার দিকে আশ্রমে গিয়ে মামলার বাদী ও প্রধান সেবাইতকে আশ্রম থেকে বের করে দিয়ে সকল কিছু দখল করার চেষ্টা করে। এঘটনায় লালপুর থানায় মামলা না নেওয়ায় গত ১৯/১/২৫ ইং তারিখে নাটোরের সিনিয়র জজ আদালতে আশ্রমের কমিটির সভাপতি সঞ্জয় কুমার কর্মকার নিষেধাজ্ঞা চেয়ে লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
অনান্য অভিযুক্তরা হলেন,যোগেশ চন্দ্র ভৌমিক,নির্মল কুমার মন্ডল,উত্তম কুমার মন্ডল,পরিতোষ কুমার ঘোষ,সুজিত কুমার ঘোষ,সনজীত কুমার ঘোষ,জয় কুমার ঘোষ,হীরেন্দ্রনাথ মন্ডল,স্বপন কুমার মন্ডল,নরেশ চন্দ্র মন্ডল। আশ্রমের সভাপতি মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান সংবাদ কর্মীদের বলেন, আমি এবং লালপুর থানার ওসি আশ্রমের বিষয়টি সমাধানের জন্য গিয়েছিলাম। সেখানে অনেক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। ওই এলাকায় যেন কোন প্রকার বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি না হয়। এছাড়া এলাকার আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি শান্তি বজায় থাকে এই লক্ষ্যে আশ্রম চত্বরে গিয়েছিলাম।#