বিশেষ প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে একশ্রেণীর জুয়েলারি মালিকের বিরুদ্ধে জুয়েলারি ব্যবসার আড়ালে রমরমা দাদন (সুদ) ও বন্ধক বানিজ্যর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের তীর থানা মোড়ের কতিপয় কথিত জুয়েলারি মালিকের দিকে। যাদের সোনা-চাঁদি সম্পর্কে প্রকৃত ধারণা নাই। জুয়েলারি ব্যবসার নামে এরা উচ্চ সুদে দাদন ও সোনা-চাঁদি বন্ধক বাণিজ্যে করছে। আর এদের এসব অপকর্মের কারণে প্রতিষ্ঠিত জুয়েলারি মালিকগণ বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়ছে।
এদিকে এসব অবৈধ কারবা ও হেফাজত আন্দোলনের সময় লুটের সোনা কিনে অনেকে হয়েছে কোটিপতি। এদের কেউ ছিলেন মোটরসাইকেল গ্যারেজের শিক্ষানবিস কর্মচারী।কিন্ত্ত হঠাৎ করেই ৫ বছরের ব্যবধানে হয়েছেন কোটিপতি। কিনেছেন জায়গা,করেছেন ফ্ল্যাট, দোকান-বাড়িতে এসি ,চড়েন ৫ লাখ টাকার মোটর বাইকে।আবার রাজশাহীতে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে পুত্রকে দামি বেসরকারি ক্যাডেট স্কুলে লেখাপড়া করাচ্ছেন। তার সম্পদের অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদুক) জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সাধারণ সোনা ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসি।
স্থানীয়রা জানায়,সোনা-চাঁদি বন্ধক নিয়ে উচ্চ সুদে দাদনে টাকা দিচ্ছে কতিপয় জুয়েলার্স। তাদের অনেকের লাইসেন্স নাই, এরা আয়কর দেয় না। এতে প্রতিষ্ঠিত জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, ক্ষুন্ন হ চ্ছে সুনাম।এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ব্যবসায়ী মহল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী জানান, কয়েক মাস আগে থানা মোড়ের এক জুয়েলার্সে বাইশ ক্যারেটের সোনার মালা বন্ধক রেখে হাজারে তিনশ’ টাকা সুদে কুড়ি হাজার টাকা কর্জ নিয়েছিলেন। কিন্ত্ত সুদাসলে ৩৩ হাজার টাকা পরিশোধ করা হলেও তাকে একই ডিজাইনের নিম্নমাণের সোনার মালা গছিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে সামাজিক মর্যাদার কারণে তিনি এর কোনো প্রতিবাদ করতে পারেননি।
অভিনব কায়দায় তারা সুদের ব্যবসা করে আসছেন। এসব টাকা আদায়ে প্রতিনিয়ত হট্রগোল লেগেই থাকে। কেউ সুদসহ নিদ্রিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে বন্ধকি সোনা ফেরত না দিয়ে তারা নিয়ে নেয়। আবার ক্রয় রশিদ ছাড়াই তারা সোনা-চাঁদি কিনেন। তাদের খপ্পড়ে পড়ে অনেকে ভরি ভরি সোনা-চাঁদি খুঁইয়েছেন বলে আলোচনা রয়েছে। কেউ যদি একভরি সোনা বন্ধক রেখে টাকা নেয়। তবে ফেরত নেবার সময় তা কমে যায় এমন অভিযোগও রয়েছে। তাদের জন্য প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের সুনাম ক্ষুন্ন এবং সাধারণ মানুষের মাঝে নেতিবাচক মনোভাবের সৃষ্টি হচ্ছে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানান, জুয়েলার্স ব্যবসার আড়ালে সুদের ব্যবসার কোন সুযোগ নেই। তিনি বলেন, অতিশিঘ্রই সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হবে। যদি সুদের ব্যবসার প্রমান পাওয়া যায় তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।#