1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Rokon :
মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
রূপসায় প্রিমিয়ার ফুটবল লীগের ৬ষ্ঠ খেলা অনুষ্ঠিত শিবগঞ্জে সাবেক ছাত্রদল ঐক্য পরিষদের কার্যকরী সভা অনুষ্ঠিত কৃষকদের বাদ রেখে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা সম্ভব নয় : খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার সাপাহারে পুনর্ভবা নদী হতে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার ধোবাউড়ায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মাঝে ছাগল ও গৃহ নির্মাণ উপকরণ বিতরণ রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাব নির্বাচন: প্রভাব নয়, যোগ্যতায় আলো ছড়াচ্ছেন সোহাগ আলী সোনামসজিদ স্থলবন্দরে চাল আমদানিতে ধীরগতি, বাজারে দামে ঊর্ধ্বমুখী   আত্রাইয়ের কৃষকরা খুশি, পাটের দাম ন্যায্য পাওয়ায় রূপসায় জামায়াতের সংসদ সদস্য প্রার্থীর ‎প্যানা ছিড়ে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা, নেতাকর্মীদের ক্ষোভ প্রকাশ ‎ ‎ কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় মান্দায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ

মোংলা থানার ওসির অপসারনের দাবীতে বাগেরহাটে মানববন্ধন

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২৪ মে, ২০২৪
  • ১৩৭ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

মোঃ ইকরামুল হক রাজিব,  ক্রাইম রিপোর্টার, বাগেরহাট: ধর্ষণ চেষ্টা, হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় মামলা না নিয়ে উল্টো ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া করার অভিযোগ তুলে মোংলা থানার ওসির অপসারনের দাবীতে মানববন্ধন করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সামনে ভুক্তভোগী মোংলা উপজেলাবাসির ব্যানারে এই মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়।

এসময় ভুক্তভোগী ফাতেমা আক্তার, নাসিমা বেগমসহ অনেকে  বক্তব্য দেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ন্যায় বিচারের জন্য মানুষ পুলিশের কাছে যায়। কিন্তু ধর্ষণ চেষ্টা, হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় মামলা না নিয়ে মোংলা থানার ওসি কেএম আজিজুল ইসলাম দূর্বৃত্তদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। গত ০৯ মার্চ বাড়িতে কেউ না থাকায় পার্শ্ববর্তী মোঃ জলিল মাতুব্বর (৪৫) ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে আমার শরীরের গোপন স্থানে কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করে। আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় জলিল মাতুব্বর। ঘটনার আধা ঘন্টা পরেই জলিল মাতুব্বরের ছেলে আমির মাতুব্বরসহ ৭/৮ জন সন্ত্রাসী দলবদ্ধ হয়ে আমার বাড়িতে বেআইনী ভাবে প্রবেশ করে। তারা ঘরের চালসহ ঘরের ভিতরের মালামাল ভাংচুর করে, আমির মাতুব্বর ও তার লোকজন। তারা আমাকে হত্যা করবার উদ্দেশে দা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে ৯৯৯ এ ফোন করলে মোংলা থানার এ্সআই রমজানসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আমাকে উদ্ধার করে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা আমাকে দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মোংলা ২৫০ বেড শয্যা হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেদিনই ধর্ষণ চেষ্টা ও হামলার মামলা নিয়ে মোংলা থানায় যায় আমার পরিবারের সদস্যরা। তবে মামলা না নিয়ে থানা থেকে বের করে দেন মোংলা থানার ওসি কেএম আজিজুল ইসলাম। পরে একাধিকবার মামলার জন্য মোংলা থানায় গেলেও ওসি বিষয়টি আমলে নেয়নি। এমতাবস্থায় আমি নিরুপায় হয়ে বাগেরহাট পুলিশ সুপার  এর শরনাপর্ণ হই। ইহাতে মোংলা থানার ওসি ক্ষিপ্ত হয় এবং আমাকে বলে তুই কতো মামলা খেতে পারিস আমি ডোজে ডোজে তোকে দিব। পরে ৩১ মার্চ খুলনা সিটি মেয়রের লিখিত সুপারিশ নিয়ে গেলে অভিযোগ রাখে পুলিশ।

দেড় মাস অতিক্রম হলেও মামলাটি নথিভুক্ত করেনি পুলিশ। এখন  আমাদের মামলা না নিয়ে মোংলা থানার ওসি আজিজুল ইসলামের হস্তক্ষেপে আমি ও আমার স্বামী মিজানুর রহমান, বোন পারভিন বেগম, ভগ্নিপতি কাওসার আকন, খালাতো ভাই শিমুল ও পারভেজকে জড়িয়ে আদালতে মানব পাচারসহ ৪টি মিথ্যা দায়ের করেন। আমরা বাড়িতে যেতে পারি না অত্যন্ত অসহায় জীবনজাপন করছি।

মোংলা থানার ওসি আজিজের অত্যাচার ও মামলার ভয়ে ২১টি পরিবার বাড়িতে ঠিক ভাবে বসবাস করতে পারছেনা। সে যদি আমাদের মোংলায় থাকে তাহলে আমাদের ২১টি পরিবার মাটির সাথে মিশে যাবে। তারা মোংলা থানার ওসি কেএম আজিজুল ইসলামের দ্রুত অপসারন দাবি করেন। এ ছাড়া মোংলা থানার ওসি কেএম আজিজুল ইসলান নানা অনিয়ম, দূর্নীতির সাথে জড়িত বলে অভিযোগ করে তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানানো হয় মানববন্ধনকারীরা।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট