লিয়াকত হোসেন …………………………..
রাজশাহী মহানগরীর রামচন্দ্রপুর বাসার রোড এলাকার শতবর্ষী পুকুর ভরাট বন্ধে মানববন্ধন করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও সচেতন নাগরিকগন। ২০জুলাই বুধবার বেলা ১২.৩০ রাজশাহী সাহেব বাজার এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে এলাকাবাসী বলেন, আমাদের এলাকার বিহারী বাবুর পুকুরটি প্রায় শতবর্ষের পুরোনো। শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত এই পুকুরটি আমাদের প্রাণপ্রিয়। পূর্বে নারী-পুরুষের আলাদা আলাদা তিনটি ঘাট ছিল এই পুকুরে। শতশত মানুষের গোসল, কাপড়-চোপড় ধোয়াসহ পানিকেন্দ্রিক নিত্য কাজ এই পানিতে সম্পন্ন হতো। সারা বছর এই পুকুরে পানির প্রবাহ থাকায় অগ্নিকান্ড ঘটলে ফায়ার সার্ভিস এখান থেকে পানি ব্যবহার করে। পুকুরটি সরকারি ভূমি রেকর্ডে চিহ্নিত।
গত ৭ জুলাই বৃহস্পতিবার প্রকাশ্য দিবালোকে তাঁর লোকজন ৪/৫টি বালু ভর্তি ট্রাক নিযে এসে পুকুরটি ভরাট শুরু করে । খবর পেয়ে এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে তাদের ভরাট বন্ধ করতে অনুরোধ করেন। এক পর্যায়ে প্রচন্ড বাধার মুখে তারা সেখান থেকে চলে যায়। তারা আরও বলেন, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এর ধারা-৬ (ঙ) অনুযায়ী যে কোন ধরনের জলাধার বা পুকুর ভরাট সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ-যা একই আইনের ধারা-১৫ (১) এর ক্রমিক ৮ অনুযায়ী দন্ডনীয় অপরাধ। অপরদিকে জলাধার সংরক্ষণ আইন ২০০০ এর ৩৬ ধারা অনুযায়ী কোন পুকুর/জলাশয় ইত্যাদি ভরাট করা বে-আইনী । এই আইনের ৫ ধারা অনুযায়ী জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গার শ্রেণীও পরিবর্তন করা যাবে না ।
এইসব আইন কানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ক্ষমতার দাপট ও অর্থবিত্তের জোরে নগরীতে একটার পর একটা পুকুর ভরাট করেই চলেছে। এর ফলে আমরা রাজশাহীবাসী প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় হুমকির মধ্যে আছি। এতএব প্রশাসনের কাছে তারা পরিবেশ রক্ষায় পুকুর ভরাট বন্ধের দাবি জানান। এ বিষয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন বরাবর এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়।#