আবুল কালাম আজাদ ………………………………………………..
বৃটিশরা আমাদের রেলের অনেক উন্নয়ন করলেও দেশ স্বাধীন হওয়ার পর খুব একটা উন্নয়ন হয়নি।যদিও সম্প্রতি নতুন নতুন রেলরুট হচ্ছে,কোন কোন জায়গায় রেললাইন সম্প্রসারনও হচ্ছে। কিন্তু বৃটিশ দের তৈরি আগের এবং বিদ্যমান রেললাইন গুলো সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।বরং নতুন নতুন কোচ, সেলুন কোচ, ল্যাগেজ ভ্যান আনা হচ্ছে।
পাশ্ববর্তী ভারতের রেললাইন আর আমাদের দেশের রেললাইনের অনেক পার্থক্য রয়েছে। তাদের রেললাইন বসানো কিংবা মেরামতের গতি বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশি।
বর্তমানে নতুন ট্রেন কিংবা ট্রেনে নতুন কোচ দেওয়ার আগে দরকার ডুয়েল গেজ ও ডাবল লাইন করা। এই ডুয়েল গেজ ও ডাবল লাইন না হওয়ার কারনে ধুঁকে ধুঁকে চলছে বাংলা রেলওয়ে।
এখানে মিটারগেজ ও ব্রডগেজ ইন্জিনের চরম সংকট,কোচ সংকট। অথচ ডুয়েল গেজ হলে অনায়াসেই এই সংকট সমাধান করা যায়।
কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিলে বাংলাদেশ রেলওয়ের মান বদলে যেতে পারে:-
১) সারা বাংলাদেশের বিদ্যামান এবং নির্মানাধীন রেললাইন গুলোকে ডুয়েল গেজ ও ডাবল লাইনে উন্নতি করা।
২) সৈয়দপুর এবং পাহাড়তলী রেলওয়ে কারখানাকে আধুনিকায়ন করা।এবং চাহিদামত লোকবল নিয়েগ দিয়ে ভারতের মতো নতুন কোচ বানানো ও মেরামতের ব্যবস্থা করা।
৩) সারা বাংলাদেশে ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন করার পাশাপাশি এখন থেকেই ইলেকট্রিক লাইনের পরিকল্পনা ও নির্মান করে ফেলা।
৪) রেলওয়েতে কোটামুক্ত নিয়োগের ব্যবস্থা করা এবং দক্ষ সৎ জনবল নিয়োগ দেওয়া।
৫) রেলওয়েতে পৃথক গবেষণা বিভাগ করা, যেন আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে নতুন নতুন কারিগরি পদ্ধতি বের করা যায়।#