1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
সিংড়ায় পুলিশের ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত নওগাঁর আত্রাইয়ের পুষ্টিগুন মাছের শুকটি রপ্তানি হচ্ছে দেশ-বিদেশে নাচোল বরেন্দ্র অঞ্চলে  দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে খেজুর গাছ ও রস   বাড়তি দামের কারণে ব্যয় বাড়ছে নিত্যপণ্যর ডুমুরিয়ায় হুফ্ফজুল কুরআন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত তানোরে আলুর বীজ নিয়ে মহা সিন্ডিকেট দিশেহারা চাষীরা! খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়  বাগমারার হাটগাঙ্গোপাড়া মডেল প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক কমিটি গঠন বাংলাদেশ জার্নালিস্ট প্রটেক্ট কমিটির সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য অ্যাডভোকেসি কর্মশালা  সিংড়ায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত

গোপলগঞ্জের গোবরার শহীদ স্মৃতি নাম পরিবর্তন করা বিদ্যালয়ের বেহালদশা

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ৮৬ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

গোলাম রব্বানী, স্টাফ রিপোর্টার, গোপলগঞ্জ………………………………..

শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়টি এখন শুধুই স্মৃতি।ছাত্র ছাত্রীর উপস্থতি নেই বললেই চলে। সকাল ১০টায় বিদ্যালয় শুরুতে এসেম্বিল এর সময় গেলে দেখা যায় বিদ্যালয়টির শিক্ষক সংখ্যা ১০ জন ছাত্রছাত্রী ৬ খেকে ৮জনের উপস্থিত আছে। বিদ্যালয়ের এই অবস্থার জন্য এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষিকা তহমিনা আক্তার ডলিকে দায়ী করছেন।

নাম না জানাতে ইচ্ছুকরা বলেন, বিদ্যালয়ে প্রশাসনিক সব বিভাগে লোকজন থাকা সত্বেও প্রধান শিক্ষিকা তার ইচ্ছা মত সব বিভাগের কাজ করে থাকে। তাকে সব বিষয়ে সহায়তা করে উপর মহলে বসে থাকা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সচিব আজাদ হোসেন চৌধুরী।

গোপালগঞ্জ জেলার গোবরা ইউনিয়নে ক্ষমতার জোরে ভাষা শহীদের নাম পরিবর্তন করে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের এক উপ-পরিচালক থাকাকালিন সময়ে একই এলাকার রুস্তুম আলী চৌধুরীর ছেলে আজাদ হোসেন চৌধুরী নিজের পিতার নামে নাম করন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। বর্তমানে ব্যপারটি নিয়ে এলাকায় সমালোচনার ঝড় বিদ্ধমান। জানা যায়, বর্তমানে আজাদ হোসেন চৌধুরী ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সচিব হিসেবে কর্মরত আছেন।

এ ব্যপারে গোপালগঞ্জ শহীদ স্মৃতি বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সদস্য ও সদর উপজেলার গোবরা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা শহীদ গোলজার হোসেন চৌধুরীর ছেলে মিফতার হোসেন চৌধুরী জেলা প্রশাসকের বরাবর সহ সংশ্লিষ্ঠ সকল দপ্তরে লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদ ও পূর্বের নাম বহাল রাখার দাবিতে অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু তার দপ্তর থেকে এ পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। স্বাধীনতার প্রায় ৫৪ বছর পরে শহীদ স্মৃতি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে রুস্তম আলী চৌধুরী মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে নামকরণ করায় এলাকায় জনমনে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, ১৯৭০ সালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরা গ্রামে স্থানীয় জনগণ ভাষা শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শহীদ স্মৃতি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় নামে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। বিগত ২০১৩ সালে শিক্ষা ভবনের তৎকালীন অডিট শাখার উপ-পরিচালক আজাদ হোসেন চৌধুরী তার অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ পন্থায় বিদ্যালয়টির নাম পরিবর্তন করে তার পিতা রুস্তম আলী চৌধুরীর নামে নামকরণ করেছেন। ২০১৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ের একটি বিশেষ সভা আহ্বানের মাধ্যমে এ নাম পরিবর্তনের রেজুলেশন করা হয়। এর আগে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি আরেকটি রেজুলেশনে বিদ্যালয়টির নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব করে।

অনুসন্ধানে আরও বেরিয়ে আসে, নাম পরিবর্তনের জন্য বিধি মোতাবেক বিদ্যালয়ের তহবিলে দশ লাখ টাকা জমা দেয়ার বিধান থাকলেও বর্তমানে ওই টাকা জমা নেই। এছাড়া আজাদ হোসেন চৌধুরী নিজে বিদ্যালয়ের স্থায়ী দাতা সদস্য হয়েছেন। বিধান অনুযায়ী, এজন্য বিদ্যালয়ের তহবিলে দুই লাখ টাকা জমা দেয়ার কথা। কিন্তু তিনি তা না দিয়ে কিভাবে স্থায়ী দাতা সদস্য হয়েছেন সে বিষয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে। উক্ত নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদ ও পূর্বের নাম বহাল রাখার দাবিতে – জেলা প্রশাসকের কাছে শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল। অপরদিকে রুস্তম আলী চৌধুরীর দানকৃত জায়গায় বিদ্যালয়টি থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে বিদ্যালয়টির অবস্থান সরকারি খাস জমির ওপর (দেবত্তোর সম্পত্তি)। দানকৃত ঐ জমি ৯৫নং গোবরা মৌজার ৩০৩৬ (এসএ-২৪৮২) দাগের থেকে ১০০ শতাংশ জমি শহীদ স্মৃতি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নামে যে জমি দান করেন। বিদ্যালয় থেকে তা আধা কিলোমিটার অদূরে নদী সিকিস্তি জমি ।

ক্ষমতায় থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করা আমাদের সমাজের বড় একটা ব্যধি হয়ে দাড়িয়েছে। ৫২ ভাষা শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা আ আমাদের মায়ের ভাষা বাংলা ফিরে পেয়েছি সেই। সেই স্মৃতি ধরে রাখার জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় শহীদদের নামে স্কুল, কলেজ রাস্তাঘাট নির্মান হয়েছে। সেই স্মৃতি যারা মুছে ফেলতে চায় তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান ।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষিকার নিকট ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে আজ বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতি কম। এ ব্যপারে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা সেই সচিবকে তার ০১৭৭২২১০২০১ নম্বরের মুঠফোনে বার বার কথা বলার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হই।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট