বিশেষ প্রতিনিধি ……………………………………………………………….
রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসন থেকে টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বছরে তিনগুন বেড়েছে নগদ টাকা, স্ত্রীর নামে স্বর্ণ ১৭৫ ভরি।
তিনি ১০ বছর অর্থাৎ ২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
২০০৮ সালে শাহরিয়ার আলম প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এবার চতুর্থবারের মত নৌকার টিকিট নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন তিনি।
শাহরিয়ার আলমের হলফনামা অনুযায়ী, ২০০৮ সালে তার বার্ষিক আয় ছিল ৯৭ লাখ ৭৩ হাজার ৯৪৯ টাকা। এর পর ১০ বছরে অর্থাৎ ২০১৮ সালে তার বার্ষিক আয় বেড়ে দাঁড়ায় ৩ কোটি ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৩৮৮ টাকা। আর গত পাঁচ বছরে অর্থাৎ ২০২৩ সালে এসে তার বার্ষিক আয় আড়াই গুনেরও বেশী বেড়ে হয়েছে ৭ কোটি ৯২ লাখ ৯১ হাজার ২৫৪ টাকা।
এছাড়াও তার হাতে নগদ টাকাও বেড়েছে তিন গুণের বেশি। ২০০৮ সালে শাহরিয়ারের হাতে নগদ টাকা ছিল ১ কোটি ৬৬ লাখ ৪০ হাজার ৫৬৫ টাকা। ২০১৮ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৬ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৭০৬ টাকা। আর বর্তমানে তার নগদ টাকার পরিমান ২১ কোটি ৪৫ লাখ ৪৯ হাজার ১৫৩ টাকা। তবে ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় ব্যাংকে কোনো টাকাই ছিল না শাহরিয়ার আলমের নিজের নামে।
অপরদিকে, ২০০৮ সালে স্ত্রীর নামে ছিল ২৭ ভরি স্বর্ণ। শাহরিয়ার আলমের নামে ছিল ১৫ ভরি স্বর্ণ। নিজের নামে স্বর্ণের মূল্য দেখিয়েছেন ৭৫ হাজার টাকা ও স্ত্রীর নামে দেখিয়েছেন ৩ লাখ টাকার স্বর্ণ। ২০১৮ সালে তিনি একই দেখান। তবে ২০২৩ সালে এসে স্ত্রীর নামে হয়েছে ১৭৫ ভরি স্বর্ণ। আর নিজের নামে দেখিয়েছেন ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণ।
শাহরিয়ার আলমের শেয়ার আছে ৬৬ কোটি ৪১ লাখ ৩২ হাজার ৭০০ টাকার। আগে শেয়ার ছিল ৫৮ কোটি ৬ লাখ ৫৩ হাজার ৩৫০ টাকার। আগে সঞ্চয়পত্র ছিল ১০ লাখ টাকার, এখন ৩০ লাখ টাকার। পাঁচ বছর আগে শাহরিয়ারের গাড়ির দাম ছিল ৭৬ লাখ ৬৩ হাজার ৩১৫ টাকা। এখন বিলাসবহুল গাড়ির দাম ১ কোটি ১০ লাখ ৩ হাজার ১০০ টাকা।
শাহরিয়ার আলম কোম্পানির শেয়ার, কৃষি খাত, প্রতিমন্ত্রী হিসেবে পাওয়া সম্মানী এবং দোকান ও অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়াকে নিজের আয়ের উৎস হিসেবে দেখিয়েছেন।#