নিজস্ব প্র্রতিবেদক……………………………………………………..
রাজশাহী মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জাহিদুর রহিমের বিরুদ্ধে সেবাগৃহীতা এক নারীর শ্লীলতাহানি করাসহ অনৈতিক প্রস্তাব এবং ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে বোর্ড চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। ওই নারীর নাম সুমি (ছন্দনাম) গ্রামের বাড়ি পাবনা।
৬ ডিসেম্বর (বুধবার) ভুক্তভোগী নারীর লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বোর্ড কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত টিম গঠনসহ উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জাহিদুর রহিমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারী একটি সংশোধনের আবেদন করেন উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক) জাহিদুর রহিমের নিকট। এরপর রহিম ওই নারীকে নানা কুপ্রস্তাব দেয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই নারীকে রাত কাটানোর প্রস্তাবসহ বাজে বাজে কথা বলেন। এরপর ওই নারী আবেদনের সংশোধন কপি নিতে আসলে অফিস কক্ষে তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন রহিম। অভিযোগে ওই নারী আরও বলেন, সংশোধনের নামে তিনি আমার নিকট থেকে দু’ হাজার টাকা নেয়। এরপর কাজ না করে নানা কুপ্রস্তাবসহ হয়রানি করতে থাকেন। এরপর অনৈতিক প্রস্তাব না মানায় সে হুমকি দেয়। বাধ্য হয়ে বিষয়টি লিখিতভাবে অভিযোগ করি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান বরাবর।
এ ঘটনায় উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (সনদ ও রেকর্ডস দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত) জাহিদুর রহিমকে কারণ দর্শানো নোটিশ করা হয়েছে। নোটিশে বলা হয়েছে সেবাগ্রহণকারীর নিকট থেকে দু’ হাজার টাকা উৎকোচসহ এফবি, হোয়াইটস আপে আজে বাজে কথা এবং বিয়ের প্রস্তাব দেওয়াসহ নানা হয়রানি করেছেন। এমনকি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বসা সভায় আপনি অশোভন আচারণ ও বাজে কথা বার্তা বলে সভা ত্যাগ করেন। এসব কারণে আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে জবাব চেয়ে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে জাহিদুর রহিমকে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরে পাবনা আরেক সেবাগ্রহীতা ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে একই কাজ করেছিলেন তিনি। ওই বিষয়টি সেসময় ধামাচাপা দেয় বোর্ড কর্তৃপক্ষ। ইতিপূর্বে এরুপ বহু নারীকে তাঁর হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। নাম প্রকাশ না করা শর্তে, বোর্ডের অনেকেই বলেন, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জাহিদুর রহিমের নিকট নারীরা নিরাপদ নয়। সে প্রতিনিয়ত নারীদের যৌন হয়রানি করেন। এরকম নারী লোভী মানুষকে গুরুত্বপূর্ণ পদে দ্বায়িত্ব দেওয়া উচিত না। এতে শিক্ষা বোর্ডের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।
কথা বললে উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জাহিদুর রহিম বলেন, কারণ দর্শানো নোটিশ পেয়েছি। ওই নারীর অভিযোগ সত্য নয়। আমি এবিষয়ে লিখিতভাবে জবাব দিবো। শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো: অলীউল আলমকে ফোন দেওয়া হলে তিনি বিষয়টি নিয়ে বোর্ড সচিবের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। এরপর বোর্ড সচিব হুমায়ুন কবিরকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।#