মোঃ মুক্তাদির হোসেন, কালীগঞ্জ, গাজীপুর…………………………………………..
গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বাহাদুর শাদী ইউনিয়ন এর ইশ্বপুর গ্রামের প্রেমিক কর্তৃক প্রেমিকাকে ধর্ষণ চেষ্টা ও দুই প্রেমিক প্রেমিকা অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে পুলিশ ৪ জনকে আটক করেছে।
থানা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের ঈশ্বরপুর গ্রামের কালিপদ চন্দ্র দাসের নাবালিকা কন্যা নদী রানী (ছদ্মনাম) এর সাথে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার গাবতলী গ্রামের জ্ঞান মোহন চন্দ্র দাসের পুত্র লিংকন দাস রিংকুর (২৫) প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। মঙ্গলবার রাতে নদীর বোন জামাই তাপস দাসের সাথে রিংকু নদীদের বাড়ীতে বেড়াতে আসে। পরে রিংকুকে নদীর ঘরে বসিয়ে রেখে তাপস বাড়ীর পাশের দোকানে চিপস্ কিনতে যায়। এসময় খালি বাড়ী পেয়ে রিংকু জোরপূর্বক নদীকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে নদীর চাচী এসে তাকে উদ্ধার করে রিংকুকে আটকে রাখে।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রিংকু ও তাপসকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় নদীর পিতা বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যার নং০৮ তারিখঃ ২৩/০৮/২০২৩ইং।
এদিকে মেয়ের জামাই তাপস কে জেল হাজতে প্রেরন করলে শশুর কালীপদ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে থানা থেকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়, প্রথমিক চিকিৎসার পর বাড়িতে নিয়ে যায়।
অপরদিকে উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের বড়গাঁও গ্রামের চান মিয়ার কন্যা চম্পা ইসলাম রুনার (২০) সাথে পার্শ্ববর্তী শিংলাব গ্রামের ইকবাল বেপারীর পুত্র নাদিম মাহমুদ (১৮) এর প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। মঙ্গলবার রাতে চম্পা নাদিমকে ফোনে তাদের বাড়ীতে ডেকে আনে। পরে রাতের খাবার খেয়ে তারা দু’জনে একই বিছানায় রাত্রী যাপন করে। সকালে মেয়ের মা বিষয়টি টের পেয়ে নাদিমকে আটক করলে সে ৯৯৯ এ ফোন দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চম্পা ও নাদিমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফায়েজুর রহমান জানান, ধর্ষণ চেষ্টায় অভিযুক্ত রিংকু এবং তার সহযোগী তাপসকে মঙ্গলবার বিকেলে গাজীপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকায় প্রেমিক প্রেমিকাকে থানায় এনে আটকে রাখা হয়েছে। তবে কোন পক্ষ এখনো পর্যন্ত মামলা দায়ের করেনি।#