# আমিরুল জহর হাসান সাগর, তালা, সাতক্ষীরা থেকে…………………………………..
সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় আত্নকর্মসংস্থান সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় ট্রেনিং ও হতদরিদ্র বেকার যুবক মো: আয়ুব শেখের লোনের অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে সহকারী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো: আমিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন অভিযুক্ত আমিরুল ইসলাম।
তথ্য সূত্রে প্রকাশ, তালা উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসের সহকারী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা (ক্রেডিট সুপারভাইজার) মো: আমিরুল ইসলাম যোগদানের পর হতে ধরাকে সরা জ্ঞান করে অনিয়ম দূর্নীতির মাধ্যমে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে গেছেন। এহন কোন কাজ নেই তিনি করতে পারেননা। তিনি হলেন সরকারী অফিস পাড়ার মুশকিল আহসান।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, তালা উপজেলা ইসলামকাটি ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের মো: আব্দুস সামাদ শেখের পুত্র মো: আয়ুব শেখ জেলা যুব উন্নয়ন অফিসের আওতাধীন একটি যুব ট্রেনিং গ্রহণ করেন। ট্রেনিং শেষে প্রাপ্ত সার্টিফিকেট নিয়ে তালা উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিস থেকে আত্মকর্মসংস্থান সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় ৫০ হাজার টাকা লোন গ্রহণ করেন। সরকারী নিয়ম অনুযায়ী তিনি উক্ত প্রাপ্ত লোন পরিশোধ করে পুনরায় লোন নেওয়ার জন্য আবেদন করেন। এখানেই বাঁধে আয়ুব শেখের দূর্গতি।
তার লোন দেওয়ার নামে নানান রকম তালবাহানা শুরু করেন সহকারী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা(ক্রেডিট সুপারভাইজার) মো: আমিরুল ইসলাম। প্রায় ২-৩ বছর অতিবাহিত হলেও লোন মেলে না আয়ুব শেখের ভাগ্যে। এমতবস্থায় নাছোড়বান্দা আয়ুব শেখ সহকারী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা (ক্রেডিট সুপারভাইজার) মো: আমিরুল ইসলামের কাছে ধরনা দিলে সেই সুযোগ কাজে লাগান ওই সরকারী কর্মকর্তা। সুযোগ বুঝে ওই সরকারী কর্মকর্তা আয়ুব শেখের কাছ হতে লোনের সকল প্রক্রিয়া শেষ করে এবং আয়ুব শেখের ব্যাংক এ্যাকাউন্ট এর একটি চেক কৌশলে হাতিয়ে নেন।
চেকে গ্রহণের সময় সুচতুর সরকারী কর্মকর্তা মো: আমিরুল ইসলাম বলেন, তার একই নামে অন্য একটি ব্যক্তির লোন পাশ হয়েছে। তাই নতুন করে আর এ্যাকাউন্ট না খুলে আয়ুবের এ্যাকাউন্টে টাকা প্রবেশ করানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী আয়ুব শেখের সন্দেহ হলে খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করেন। খোঁজ খবরের এক পর্যায়ে তিনি জানতে পারেন তার লোন পাশ করিয়ে আত্মসাৎ করেছেন সহকারী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা (ক্রেডিট সুপারভাইজার) মো: আমিরুল ইসলাম।
এমতবস্থায় ভুক্তভোগী আয়ুব শেখ গত সোমবার (০৭ ই আগস্ট ২৩) সকালে উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসে হাজির হয়ে রেজুলেশন খাতা দেখতে চান। রেজুলেশন খাতায় দেখা যায় গতবছর নভেম্বর মাসে সুচতুর ওই সরকারী কর্মকর্তা মো: আমিরুল ইসলাম হতদরিদ্র আয়ুব শেখের নামের ৮০ হাজার টাকার লোন উক্ত চেকের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন। এই নিয়ে তৎক্ষণাত বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ছলনা শুরু করেন সহকারী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা (ক্রেডিট সুপারভাইজার) মো: আমিরুল ইসলাম। ছলনা এক পর্যায়ে আয়ুব ইসলামের নামে উত্তোলন করা টাকার একটি অংশ মানেজ করে আয়ুবকে প্রদান করেন।
সহকারী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা (ক্রেডিট সুপারভাইজার) মো: আমিরুল ইসলাম এর আগেও যুব উন্নয়ন অফিস কর্তৃক ট্রেনিং নামে কাল্পনিক নাম ও বয়স্ক ব্যক্তির নাম অন্তর্ভূক্ত করে ট্রেনিং এর প্রাপ্ত টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগও প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু অদৃশ্য খুঁটির জোরে মো: আমিরুল ইসলাম এখনও বহাল তবিয়াতে টিকে আছেন।
ভুক্তভোগী মো: আয়ুব শেখ জানান, আমারে যুব উন্নয়ন অফিস কর্তৃক সার্টিফিকেটের বিপরীতের আত্মকর্মসংস্থান সম্প্রসারণ প্রকল্পের লোন আত্মসাৎ করেন সহকারী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা (ক্রেডিট সুপারভাইজার) মো: আমিরুল ইসলাম। বিষয়টি বেশ কিছুদিন পর টের পেয়ে ধরাধরি করলে সুচতুর সহকারী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা লোনের বিপরীতের কিছু অর্থ আমাকে প্রদান করেছেন।
অভিযুক্ত সহকারী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা(ক্রেডিট সুপারভাইজার) মো: আমিরুল ইসলাম মোবাইল ফোনে জানান, লোন আত্মসাৎতের বিষয়টি ভুক্তভোগীর সাথে মীমাংসা করা হয়েছে। অযাথা লেখালেখির কোন দরকার নেই !
এবিষয়ে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা(অ:দা:) সজ্ঞীব কুমার দাশ জানান, আমি তালা উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি। আপনাদের(সংবাদকমীদের) মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি। যদি আমিরুল ইসলাম এমন কাজ করে থাকে তাহলে সে অন্যায় করেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#