লালপুর, নাটোর প্রতিনিধি………………………………………………….
নাটোরের লালপুর উপজেলার ৮নং দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফার বিরুদ্ধে সাংবাদিককে প্রকাশ্যে, দিবালোকে,উপস্থিত জন সাধারনের সামনে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি ও প্রাণ নাশের হুমকি ধামকি সহ সাংবাদিকের মান-সন্মান নিয়ে টানা হেঁচড়া এবং সন্মান হানির ঘটনায় গত(৬ই মার্চ-২৩) সাংবাদিক মেহেরুল ইসলাম বাদী হয়ে নাটোরের বিজ্ঞ আমলী আদালতে দঃবিঃ ৫০০/৫০৫/৫০৫(ক) /৫০৬(।।) ৪৯৯/৫০৮/৫০১/৫০৪/৫০২/৫০৩/৫০৬ ধরায় মামলা দায়ের করায় আদ্য বৃহস্পতিবার(২২শে জুন-২৩)ইং ধার্য তারিখে উক্ত আদালতের বিচারক মোসলেম উদ্দিন লালপুর থানার ওসির তদন্ত রিপোর্ট পর্যবেক্ষন করে আসামী তোফাজ্জল হোসেন তোফার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী ওয়ারেন্ট জারী করেছেন। মামলা নং সিআর ৬৩/২৩(লাল)। গ্রেফতারী ওয়ারেন্ট এর বিষয়টি বাদী পক্ষের সিনিয়র আইনজীবী এ্যাডভোকেট আলেক শেখ নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য যে,মামলাটির বাদী মেহেরুল ইসলাম একজন পল্লী চিকিৎসক ও সাংবাদিক। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১১ই ফেব্রুয়ারী-২৩ ইং তারিখে দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের গন্ডবিল(কালুপাড়া) এলাকার একটি মাটির রাস্তায় ভেকু মেশিন দিয়ে রাস্তা কেটে দিচ্ছে মর্মে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেলে সেখানে তিনি উপস্থিত হওয়া মাত্রই অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফা চড়াও হয়ে এ ঘটনা ঘটায়।
পরে বিষয়টি লালপুর থানার ওসিকে জানালে তিনি ইউএনও অফিসে অভিযোগ দিতে বলেন। পরের দিন ১২ই ফেব্রুয়ারীতে ইউএনও অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে বিভিন্ন পত্রপত্রিকা, ফেসবুক সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ করা হলেও ৪ঠা মার্চ পর্যন্ত কোন আইনী ব্যাবস্থা গ্রহণ করা না হলে বাদীর সাংবাদিকতা ও পল্লী চিকিৎসার ক্ষেত্রে মান-সন্মানের হানি ঘটে।যা ১০ কোটি টাকা টাকার বিনিময়েও এ সন্মান ফিরে আনা সম্ভব হবে না।
এরই ধারাবাহিকতায় সাংবাদিক মেহেরুল ইসলাম সকল পত্র-পত্রিকা ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরগুলোর ডকুমেন্টস আদালতে দাখিল করে মানহানির মামলা দায়ের করতে বাধ্য হয়। মামলার পরপরই বিজ্ঞ আমলী আদালত তৎক্ষনাৎ মামলাটি আমলে নিয়ে লালপুর থানার ওসিকে তদন্তের আদেশ দিয়ে ৭/৫/২০২৩ ইং তারিখে দিন ধার্য্য করলে থানার ওসি তদন্ত রিপোর্ট পাঠাতে পুনরায় সময় চাইলে আদালত ২২/০৬/২৩ তারিখ দিন ধার্য করেছিলেন।#