# বিশেষ প্রতিনিধি…………………………………………
চাঁদা দিতে না চাওয়ায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে স্বামী-স্ত্রীকে মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আড়ানি পৌর সভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নুর নগর গ্রামে। এ ঘটনায় ওই গ্রামের বজলুর রহমান বাদি হয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। মঙ্গলবার(৯-৫-২০২৩) আহত স্বামী-স্ত্রী চিকিৎসা শেষে নিজ বাসায় ফিরেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, বাদি বজলুর রহমান ব্যবসার পাশাপাশি কৃষি কাজ করেন। গত রোববার(৭ মে) একই গ্রামের নাজিম উদ্দীনের ছেলে মানিক আলী ও সাবান আলীর ছেলে মোঃ জুয়েল, বাদি বজলুর রহমানকে বলেন এলাকায় বসবাস করতে হলে বড় ভাই আশিক রানা (পিতা- নাসির উদ্দীন)কে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে। তাদের চাঁদা দিতে অস্বিকার করলে ওইদিন রোববার বিকেল ৪টায় বজলুর রহমানের বাড়ির সামনে গিয়ে আশিক রানা জিজ্ঞেস করে আমার লোকজেনর কাছে কি বলেছিস। এ কথা বলা মাত্রই হত্যার উদ্দেশ্য বজলুর রহমানের গলা চেপে ধরে নাকে মুখে ও গাছের ডাল দিয়ে শরীরের বিভিস্থানে এলোপাড়াড়ি মারপিট করে আশিক রানা। মানিক আলী ও মোঃ জুয়েল চেপে ধরলে জহুরুল ইসলামের ছেলে মোঃ মুসা বাঁশের লাঠি দিয়ে মারপিট করে। এতে বজলুর রহমানের শরীরের বিভিন্নস্থানে রক্তাত্ত ফোলা জখম হয়। তার চিৎকারে স্ত্রী রেহেনা বেগম আগায়ে গেলে সকল বিবাদিরা তাকেও মারপিট করে। ওই সময় রেহেনা বেগম মাটিতে পড়ে গেলে মোঃ মানিক তার গলায় থাকা ১২ আনা ওজনের সোনার চেইন নিয়ে নেয়। স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর তারা চলে যায়।
বুজলুর রহমান ও তার স্ত্রী রেহেনা বেগম বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে আশিক রানা চাাঁদা চাওয়ার বিষয়টি মিথ্যা দাবি করে বলেন, মামলার বিষয় নিয়ে প্রায় ২ বছর হলো বজলুর রহমানের সাথে আমারসহ মানিক আলী, মোঃ মুসা ও মোঃ জুয়েল এর কথা চলেনা। তবে ওয়ারিশ সুত্রে একটি বাঁশ ঝাড়ের বাঁশ কাটা নিয়ে মানিক-মুসার সাথে বজলুর পক্ষের ইলিয়াসের সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছে বলে জানি। বজলুর দাড়িয়ে থেকে ইলিয়াসকে দিয়ে বাঁশ কাটাচ্ছিল। এ নিয়ে হ্রটগোল হয়েছে। সেখানে পুলিশসহ স্থানীয় কাউন্সিলরও ছিলেন। বাঘা থানার অফিসার (ওসি) খায়রুল ইসলাম জানান,অভিযোগ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ।#