# নিজস্ব প্রতিবেদক, লালপুর, নাটোর………………………………………..
লালপুর উপজেলার ৮নং দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফা আকস্মিক ভাবে সাংবাদিক দের উপর চড়াও মর্মে লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) বরাবর গত রবিবার(১২ই ফেব্রুয়ারী-২৩)অফিস চলাকালীন সময়ে জাতীয় দৈনিক আশ্রয় প্রতিদিন পত্রিকার লালপুর উপজেলা প্রতিনিধি মেহেরুল ইসলাম মোহন বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও আদ্য বুধবার (০১লা মার্চ-২৩)পর্যন্ত মিলেনি কোন আইন গত ব্যাবস্থা।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী সাংবাদিক মেহেরুল ইসলাম(মোহন)বলেন, গত ১১ই ফেব্রুয়ারী-২৩ ইং তারিখে লালপুর উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নে অবস্থানরত ঐতিহাসিক ভেল্লাবাড়ীয়া হযরত বাগুদেওয়ান(রাঃ)মাজার মসজিদের বটগাছ হতে উত্তরদিকে কালুপাড়া গোরস্থান পার হয়ে গন্ডবিল-হালুডাঙ্গার অভিমুখে কাঁচা রাস্তার মাটি ভেকু মেশিন দিয়ে কেটে আশেপাশের জমিতে থাকা ফসল নষ্ট করছে এবং রাস্তার দু’পাশের পানি প্রবাহের চোঙ উপড়ে দেওয়া হচ্ছে মর্মে এলাকাবাসী সংবাদ কর্মীদের জানালে আমি সহ ৩ জন সংবাদ কর্মী তথ্য সংগ্রহের জন্য ঘটনা স্থলে গেলে অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফা তৎক্ষনাৎ সংবাদ কর্মীদের উপর চড়াও হয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।গালিগালাজ করতে নিষেধ করিলে তিনি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বিভিন্নভাবে প্রাণ নাশের হুমকি ধামকি দেয়। এমনকি ঘটনা স্থলে উপস্থিত জনসাধারণের সামনেই প্রকাশ্যে সাংবাদিকদের প্রতি আঙুল তুলে যেখানে সুযোগ পাবে সেখানেই হত্যা করবে বলে সাফ কথা জানিয়ে দিলে বিষয় টি লালপুর থানার ওসি মোনোয়ারুজ্জামানকে জানানো হয়। পরে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানাতে বলেন।
ঘটনার দিন অফিস ছুটি ছিল,পরের দিন অভিযোগটি অফিসিয়াল ভাবে রিসিভ করেন ইউএনও । সাংবাদিক মেহেরুল ইসলাম আরো বলেন,অনুতাপের বিষয় এই যে,ইউএনও অফিসে অভিযোগ দেওয়ার পরেও আদ্য ২ সপ্তাহ পার হয়ে গেছে তবুও ক্ষমতার দাপট দেখানো সেই চেয়ারম্যান তোফার বিরুদ্ধে কোনরূপ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।বিষয়টি বড়ই দুঃখ জনক। এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা সুলতানা বলেন, বিষয়টি খুব শীঘ্রই খতিয়ে দেখা হবে।#