হয়েও হয়নি দেখা (প্রথম পর্ব)
জামান একজন সাধারণ শিক্ষার্থী ও পাঠ সচেতন একজন পাঠকও বটে। কবিতা গল্প উপন্যাস কিনতে সংগ্রহ করতে ও পড়তে ভালোবাসে। দেশের বিভিন্ন জেলায় কাজের সন্ধানে ছুটে ফেরে ক্রান্তিলগ্নে বা অবসরে। বিভিন্ন কবি সাহিত্যিক, উপন্যাসিকের লেখা পড়তে পড়তে নিজেও লেখালেখির প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে। ২০০৬ সালের অক্টোবর মাসের ১১ তারিখের ঘটনা, জামান আশুলিয়া জামগড়ায় ফ্যান্টাসী কিংডমের সামনে থেকে অনেক গুলো বই ক্রয় করে। তার মধ্যে একজন লেখিকার নাম কবি আকলিমা জাহান আঁখি’র লেখা একক কাব্যগ্রন্থ “জোৎস্নায় নদী” পড়ে মুগ্ধ হয়ে (মোঃ জিয়ারুল ইসলাম ও হিমালা দম্পত্তির মেহমান হিসেবে, দারগ আলীর বাড়ীতে বসে) রাত্রি বেলায় চিঠি লেখে। জামানের চিঠি পেয়ে কবি আকলিমা জাহান আঁখি সৌজন্যতার নিরীখে উত্তর দেয়। সাথে নলতা শরীফ এর ওয়ার্সী গিফট কর্ণারের স্বত্বাধিকারী মোঃ মজনুল হক এর মোবাইল নং দেয় ও কল করতে বলে ও আমন্ত্রণ জানায়।
জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ০৮-০২-২০০৭ রওয়ানা হয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া তার ছোট বোনকে এডমিশন টেষ্টের জন্য সঙ্গে নিয়ে যায়। ১০ ফেব্রুয়ারী ২০০৭ এডমিশন টেষ্ট শেষ করে যশোর এর শার্শা উপজেলার হাড়িখালী মোঃ সোলায়মান প্রামানিক ও পাঁচপোতা গ্রামের মোঃ আব্দুল গফুর সরদারের বাড়ীতে বেড়াতে যায়। ১২ ফেব্রুয়ারী ২০০৭ঈশায়ী সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ফুলবাড়িয়া বাজার সংলগ্ন সেনেরগাঁতি গ্রামে আত্মীয় মোঃ আনসার আলীর বাড়ীতে অবস্থান করে।
১৩ ফেব্রুয়ারী ২০০৭ ঈশায়ী যথারীতি সকালে জামান ছোট বোন হাসিয়ারা জামান কল্পনাকে সঙ্গে নিয়ে বন্ধু সাগর ও বন্ধু কামরুজ্জামান কামু সহযোগে সকাল ১০:৫০ ঘটিকার সময় বাংলা সাহিত্যের মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মস্থান সাগরদাঁড়ি মধুপল্লী পরিদর্শনে যায় ও পরিদর্শন বইয়ে মহাকবি কে নিয়ে কবিতা লেখেন (সকালঃ ১১:৩২,কপোতাক্ষের কবি)। মধু পল্লী পরিদর্শন শেষ করে আত্মীয় বাড়ী সেনেরগাঁতি ফিরে যায়।
বাঙ্গালির ভালোবাসা দিবস পহেলা ফাল্গুন।কথা হয় কবি আকলিমা জাহান আঁখির সাথে। ছোট বোন হাসিয়ারা জামানকে আত্মীয় বাড়ীতে রেখে ওয়ার্সী গিফট কর্ণারে আকলিমা জাহান আঁখির সাথে সাক্ষাৎ করতে যায়। বিকেল ৩:৪৫ এ ফুলবাড়িয়া বাজার থেকে ত্রিশ মাইল হেলিকপ্টারে চড়ে পৌঁছে। ত্রিশমাইল থেকে বাসে সাতক্ষীরা শহরে পৌঁছে ৪:৪৫ এ, পরে শ্যামনগরের বাসে চড়ে নামে কালিগঞ্জ নলতা শরীফ নামে ৫:৫৮। পথিমধ্যে বাসে পরিচয় ঘটে মোঃ মোজাফফর হোসেন ও মোছাঃ সালমা খাতুনের সাথে। জামান নলতা শরীফ নেমে খান বাহাদুর আহসান উল্লাহ’র পাক রওজা শরীফে সালাতুল আসর ও মাগরীব আদায় করে ও রওজা শরীফে শরীফে ফাতেহা৷ শরীফ পাঠ করে ওয়ার্ছী গিফট কর্ণার খুঁজে বের করে। কথা হয় মোঃ মজনুল হক সাহেবের সাথে। তিনি ব্যস্ততার মাঝে একজন ভদ্রলোকের সাথে জামানকে চা বিস্কিটের সমাদরে পাশের স্টলে পাঠান। আতিথেয়তা গ্রহন শেষ করে ওয়ার্ছী গিফট কর্ণারে ফিরে আকলিমা জাহান আঁখির সাথে সাক্ষাৎ করতে উদগ্রীব হয়ে যায়।
সন্ধ্যা নেমেছে ওয়ার্ছী গিফট কর্ণারে জামান বসে সন্ধিচ্ছু নয়নে আকলিমা জাহান আঁখি’কে খুঁজে ফিরছে! মাঝে মধ্যে একটি মেয়েকে ভেতর থেকে পর্দার আড়াল থেকে উঁকি দিতে দেখে সাগর নিশ্চিত হয় এই মেয়েটিই কবি আকলিমা জাহান আঁখি হবে। বার বার আঁখির সাথে কথা বলতে ও মুখোমুখি হতে মজনুল হক সাহেব কে অনুরোধ করে জামান। মজনুল হক সাহেব জামানকে বলে যে, সাক্ষাৎ করবেন সমস্যা নেই, সাক্ষাৎ হবে। আপনি আমার সাথে আগে কথা শেষ করুন, তিনি জামানের পারিবারিক অবস্থা, ইতি আদি বৃত্তান্ত সম্পর্কে যাবতীয় কিছু জিজ্ঞাসা করতে থাকে। কিন্তু সাক্ষাৎ করতে না দিয়ে আগামী সাক্ষাৎ করবেন বলে ফেরত পাঠিয়ে দেয়।
লেখক পরিচিতি: এস এম মনিরুজ্জামান আকাশ কবি-কলামিস্ট, গীতিকার-সাংবাদিক, পরিবেশ ও মানবাধিকার কর্মী, সভাপতি-. গ্রিনপিস বাংলা, পাবনা জেলা শাখা, পাবনা।#