সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরা শ্যামনগরের রমজাননগর ইউনিয়নের ২৩ নং মানিকখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা খাদিজা খাতুনের বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ২৩ জন ছাত্র-অভিভাবক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অনলাইনের মাধ্যমে সরকারি অভিযোগ প্রতিকার সেবার মাধ্যমে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে অভিভাবকরা উল্লেখ করেছেন, ২০০৭ সাল থেকে একটানা ১৮ বছর একই বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকার কারণে খাদিজা খাতুন স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠেছেন। অভিযোগে বলা হয়, তিনি সহকারী শিক্ষক, কেরানী ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন এবং অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেন। হিন্দু ধর্মাবলম্বী সহকর্মীদের ধর্মীয় পরিচয় টেনে অপমান করেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিভাবকদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর পা ভেঙে গেলে তার অভিভাবক বিষয়টি জানালে প্রধান শিক্ষিকা ওই শিক্ষার্থীকে টিসি নিয়ে অন্য স্কুলে ভর্তির পরামর্শ দেন। এছাড়া সহকারী শিক্ষিকা হাত ধোয়ার সময় রাগের বশে পানির ট্যাপ ভেঙে ফেলার ঘটনাও ঘটান তিনি।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, বিদ্যালয়ের ১০ থেকে ১২টি বেঞ্চ বিক্রি করে আত্মসাৎ করেছেন খাদিজা খাতুন। ক্লাস নেওয়ার সময় তিনি ব্ল্যাকবোর্ডে লিখে শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে পড়ান না। সহকারী শিক্ষিকারা যখন অবসর পান, তখনও তিনি শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত যত্নশীলভাবে পড়াতে দেন না। তার বক্তব্য অনুযায়ী— “ছাত্রছাত্রী ভালো পড়লেও আমরা বেতন পাব, না পড়ালেও পাব; সুতরাং বাড়তি কেয়ার নেয়ার দরকার নেই।
অভিভাবকরা মনে করেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। তারা দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা খাদিজা খাতুনের মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন এসব মিথ্যা আপনি স্কুলে আসেন, বসে কথা বলবো।
ঘটনার বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।#