মোঃ মমিনুল ইসলাম মুন, বিশেষ প্রতিনিধি:
রাজশাহীতে দুই দিন ধরে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি এর মধ্যেই হয়েছে হালকা বৃষ্টি। ফলে শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে রাজশাহীর জনজীবন। আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্যানুযায়ী, সোমবারের (৯ ডিসেম্বর) চেয়ে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বাড়লেও ঠান্ডা বাতাসের কারণে শীতের তীব্রতা কমেনি, আগের দিনের চেয়ে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিস সূত্র বলছে, সোমবার ভোর ৬ টায় রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঐ দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার ভোর ৬টায় রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত রোববার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার সারাদিন রাজশাহীতে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। দুপুরের পর হয় হালকা বৃষ্টি। সন্ধ্যার পর থেকেই কুয়াশায় ঢেকে যায় প্রকৃতি। রাত ১০ টার পর দৃষ্টিসীমা ২০ মিটারের কমে নেমে আসে। ফলে সড়ক-মহাসড়কে গতি কমিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। মঙ্গলবার সকালেও কুয়াশার চাদরে মোড়া ছিল প্রকৃতি।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক আনোয়ারা খাতুন বলেন, ‘এখন তাপমাত্রা এ রকমই থাকবে। তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতেও পারে।’ এদিকে, শীত নামলেও রাজশাহীতে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য এখনো সরকারি শীতবস্ত্রের ব্যবস্থা হয়নি। শীত বাড়ায় রাজশাহী নগরের ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকান বসেছে। সেখানে ভিড় বাড়ছে মানুষের। কিন্তু আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় অনেকেই গরম কাপড় কিনতে পারছে না। ফলে শীতে কষ্ট পাচ্ছেন নিম্ন আয়ের ও ছিন্নমূল মানুষ।
এ বিষয়ে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সালাহ উদ্দীন আল ওয়াদুদ বলেন, ‘এখনও শীতবস্ত্র বরাদ্দ আসেনি। বরাদ্দ এলে বিতরণ করা হবে।#