1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Rokon :
মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৫২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
শিবগঞ্জে ভয়াবহ নদী ভাঙন রোধে দ্রুর্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবীতে মানববন্ধন শিবগঞ্জে ভয়াবহ পদ্মা নদী ভাঙন: ঘরবাড়ি হারিয়ে মানববন্ধনে গ্রামবাসী চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে বিএনপি’র জনপ্রিয় প্রার্থী আশরাফ হোসেনের মতবিনিময় ভোলাহাটে কোটি কোটি টাকার রেশম প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ! এ যেনো পুকুর নয় সমুদ্রচুরী! পীরগঞ্জে ভোক্তা অধিকারের ৪ প্রতিষ্ঠানকে ১৬ হাজার টাকা জরিমানা রাজশাহী সড়ক ভবনে সিন্ডিকেট চক্রের দৌরাত্ম্যে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শিবু দাশের উদ্যোগে পুঠিয়ায় উপজেলা হাসপাতালের জলাবদ্ধতা নিরসন চলনবিল রক্ষায় বিকল্প স্থানে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের দাবিতে বাঘায় উপজেলা নির্বাহি অফিসারের নিকট বাপার স্মারকলিপি প্রদান WHRO’ র নতুন যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পেলেন ভোলার কৃতি সন্তান মোঃ মহিউদ্দিন খন্দকার ৩১ দফা বাস্তবায়নে পত্নীতলায় বিএনপি’র মতবিনিময় সভা

শিবগঞ্জে ভয়াবহ পদ্মা নদী ভাঙন: ঘরবাড়ি হারিয়ে মানববন্ধনে গ্রামবাসী

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৪১ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

৥ আব্দুল বাতেনঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার উজিরপুর, পাকা, ও দুর্লভপুর এই তিনটি ইউনিয়নে পদ্মা নদীর ভাঙন এখন এক ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। প্রতিদিনই নদীর গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে বসতভিটা, ফসলি জমি আর মানুষের জীবনের স্বপ্ন। এই ভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় দুর্লভপুর ইউনিয়নের মনোহরপুর পদ্মা নদীর তীরে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেন।

মানববন্ধনে অংশ নিয়ে স্থানীয় কৃষক মতিউর রহমান কণ্ঠ ভারী করে বলেন, “পদ্মার ভাঙনে তিন বিঘা জমি নদীতে চলে গেছে। এখন পরিবার নিয়ে কোথায় থাকব, কীভাবে খাব তা বুঝতে পারছি না। সরকার যদি বাঁধ না দেয়, তাহলে আমাদের সবকিছুই হারাতে হবে।” এলাকার গৃহবধূ রহিমা বেগম বলেন, “গত মাসেই আমাদের ঘরটা ভেঙে পড়ল নদীতে। এখন স্বামী-সন্তান নিয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে ঠাঁই নিয়েছি। প্রতিদিন আতঙ্কে আছি, আর কতটুকু ভাঙবে কে জানে!”

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মতে, গত পাঁচ বছরে দুর্লভপুর, পাকা উজিরপুর এই তিনটি ইউনিয়নের অন্তত কয়েক হাজারের বেশি পরিবার পদ্মার ভাঙনে গৃহহীন হয়েছে। কয়েক হাজারএকর উর্বর কৃষিজমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এর পাশাপাশি কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান , কয়েকটি মসজিদ ও বেশ কিছু কবরস্থানও নদীর ভাঙনে তলিয়ে গেছে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এখনই পদক্ষেপ না নিলে পুরো ঝালপাড়া গ্রাম ও আশপাশের এলাকা মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে পারে। তাই অবিলম্বে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান তারা।

স্থানীয় শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, “নদী ভাঙনের কারণে শিশুরা স্কুলে যেতে পারছে না। প্রতিদিন ভয় থাকে, আজকে হয়তো স্কুলটাই নদীতে চলে যাবে।” মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নিয়ে একটাই দাবি তুলেছেন, “স্থায়ী বাঁধ চাই, ভাঙন রুখতে হবে এখনই।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট