ফাইল ছবি
আলিফ হোসেন, তানোর…………………………………………………………..
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) ভিআইপি এই সংসদীয় আসনে প্রার্থীদের গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণা জমে উঠেছে। প্রতিদিন কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রার্থীরা ভোট প্রার্থনা করে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। অন্যদিকে চায়ের কাপে ঝড় উঠেছে।
কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ ভোটারগণ নিজ নিজ পচ্ছন্দের প্রার্থীর পারিবারিক ঐতিহ্য, সামাজিক মর্যাদা, আর্থিক স্বচ্ছলতা ও রাজনৈতিক দুরদর্শিতা ইত্যাদি যোগ্যতা তুলে ধরে আলোচনায় মুখর। এদিকে এসব আলোচনায় এমপি ফারুক চৌধুরী অন্যদের থেকে যোজন যোজন দুরুত্বে এগিয়ে রয়েছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, এমপি ফারুক চৌধুরী এবার দিয়ে একটানা ৬ বার দলীয় মনোনয়ন পেয়ে একটানা তিনবার সাংসদ নির্বচিত হয়েছেন এবং একবার শিল্প প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে দাযিত্ব পালন করেছেন। তার দীর্ঘ প্রায় আড়াই দশকের রাজনৈতিক জীবনে তিনি হয় তো সবার উপকার করতে পারেননি, এটা যেমন সত্য, ঠিক তেমনি সত্য তার দ্বারা কোনো মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। তিনি করো জমিদখল করেননি, কারো নামে মিথ্যা মামলা করননি, অফিস পাড়ায় কোনো দালাল রাখেননি, নেই স্বজনপ্রীতি তার সঙ্গে রাজনৈতিক নেতাদের রাজনৈতিক দন্দ রয়েছে, যার সঙ্গে ভোটার ও সাধারণ মানুষের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। অথচ স্থানীয়রা বলছে, কারো কারো বিরুদ্ধে রয়েছে রাজনৈতিক কর্মসূচির (শোডাউন) পেট্রল পাম্পের টাকা ও ডেকোরেটরের টাকা বাঁকি। সালিশ বাণিজ্যে ইত্যাদি অভিযোগ সাধারণের মুখে মুখে প্রচার রয়েছে।
স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল এবার নির্বাচনে ফারুক চৌধুরীর সঙ্গে অন্যদের তুলনা করতেই নারাজ। কারণ হিসেবে বলছে, এমপি ফারুক চৌধুরী তার দীর্ঘ প্রায় দুই দশকের রাজনৈতিক জীবনে তানোর-গোদাগাড়ী থেকে তিনি প্রতিদিন যদি ৫ জন করে মানুষের উপকার করে থাকেন, তাহলে ৩৬৫ দিনে ১৮২৫ জন এবং ২০ বছরে ৩৬ হাজার ৫০০ জন মানুষের সরাসরি উপকার করেছেন। তাহলে উপকারভোগী এই মানুষগুলো তো এখানো এমপির পক্ষে মাঠে আছে। এছাড়াও এই আসনের দুটি উপজেলা, ৪টি পৌরসভা এবং ১৬টি ইউনিয়নের (ইউপি) আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের প্রতিটি ওয়ার্ডের সাংগঠনিক নেতাকর্মী ফারুক চৌধুরীর সঙ্গে রয়েছেন।
রাজশাহী-১ আসনে আওয়ামী লীগের ওমর ফারুক চৌধুরী (নৌকা), বিএনএমের শামসুজ্জোহা (নোঙর), বিএনএফের আল-সাআদ (টেলিভিশন), তৃণমূল বিএনপির জামাল খান দুদু (সোনালী আঁশ), এনপিপির নুরুন্নেসা (আম), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের বশির আহমেদ (ছড়ি), জাতীয় পার্টির শামসুদ্দীন (লাঙল), মাহিয়া মাহি (ট্রাক), গোলাম রাব্বানী (কাঁচি) ও আয়েশা আক্তার জাহান ডালিয়া (বেলুন) প্রতীক নিয়ে প্রতিদন্দীতা করছেন।
রাজশাহী-১ আসনে ৪টি পৌরসভা ও ১৬ টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। এই আসনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৪০ হাজার ২১৮ জন। দুই উপজেলা মিলে ভোটকেন্দ্র ১৫৮টি। ভোটকেন্দ্রের কক্ষের সংখ্যা ৯৯৪ টি। অস্থায়ী ভোট কক্ষের ৫১ টি। নতুন ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৩ টি। এআসনে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১৯ হাজার ৬৫৩ জন, নারী ভোটার ২ লাখ ২০ হাজার ৫৬৪ জন। একজন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।#