1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:

রাজশাহী-১ আসনে দ্বিমুখী লড়াই এগিয়ে নৌকা

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ৩০৬ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

আলিফ হোসেন, তানোর…………………………………………………………..

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করায় রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) ভিআইপি এই সংসদীয় আসনে এবার প্রার্থীদের জয়-পরাজয়ে মেইন ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছে কোনো ব্যক্তি নয় প্রতিক নৌকা। আগামী ৭ জানুয়ারী রোববার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে নির্বাচনের দিন যতো ঘনিয়ে আসছে ততোই নৌকার জনসমর্থন বাড়ছে। এতে বিপাকে পড়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। নৌকার বিপক্ষে প্রার্থী হয়ে  তারা তাদের কর্মী-সমর্থকদের নিজেদের পক্ষে ধরে রাখতে পারছেন না বলে মনে করছে সাধারণ ভোটারগণ। ফলে  নির্বাচনে জয়-পরাজয়ে প্রার্থী নয় মেইন ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছে প্রতিক নৌকা। অন্যদিকে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে বোধদয় হয়েছে এটা স্থানীয় নয় ক্ষমতা পরিবর্তনের নির্বাচন। কাজেই সরকার দলীয়  প্রার্থীর বিজয় ব্যতিত এলাকার উন্নয়ন সম্ভব নয়। যার জ্বলন্ত উদাহরণ রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। বিগত রাজশাহী সিটি নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে ভোট দিয়ে বিএনপি প্রার্থীকে বিজয়ী করে কিভাবে উন্নয়ন বঞ্চিত হয়েছিল। রাজশাহীর মানুষ সেটা ভুলেনি। ফলে রাজশাহী-১ আসনের মানুষ  উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে কোনো ব্যক্তি নয়, সরকার দলীয় প্রার্থী তথা নৌকার বিজয় চাই।

এদিকে আওয়ামী লীগের নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের  মাঝে বোধদয় হয়েছে এটা দলের সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার  প্রেষ্টিজ। তাই তারা এবার কারো কোনো মোহে বা প্ররোচনায় পড়ে নৌকার বিপক্ষে ভোট প্রয়োগ করবেন না, করতে পারেন না। তাদের অভিমত, ভুল থাকতে পারে প্রার্থী বা কোনো নেতাকর্মীর। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কোনো ভুল করেননি। ফলে তার সম্মান রক্ষায় তার দেয়া প্রতিক নৌকার বিজয় ব্যতিত বিকল্প নাই। কারণ দলীয় প্রার্থীর পরাজয় ঘটলে কেউ প্রার্থীর পরাজয়ের কথা বলবে না, বলবে নৌকার পরাজয় ঘটেছে, আর এটা আওয়ামী লীগের আদর্শিক কোনো নেতা বা কর্মী-সমর্থকের কাম্য হতে পারে না।  স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের ভাষ্য স্থানীয় সাংসদের জনপ্রিয়তা ও আওয়ামী লীগের বিশাল কর্মী বাহিনী কাজে লাগাতে পারলে এখানে নৌকার বিজয় প্রায় নিশ্চিত। কারণ এখানে আওয়ামী লীগের মনোনীত ফারুক চৌধুরীর (নৌকা) সঙ্গে স্বতন্ত্র গোলাম রাব্বানীর (কাঁচি) দ্বিমুখী লড়াই হবে। যে লড়াইয়ে ফারুক চৌধুরী অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন। কারণ ফারুক চৌধুরী একটানা তিন বারের নির্বাচিত সাংসদ, হয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

বিপরীতে গোলাম রাব্বানী দুবার দলীয় মনোনয়নে তানোর উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদন্দিতা করে বিএনপির দুর্বল প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছেন। এছাড়াও এমপির আর্শীবাদে তিনি দুবার পাঁচন্দর ইউপি চেয়ারম্যান ও দুবার মুন্ডুমালা পৌর মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্ত্ত পাঁচন্দর ইউপি ও মুন্ডুমালা পৌরসভার তিনি তেমন কোনো উন্নয়ন করতে পারেননি। এমনকি গত পৌর নির্বাচনে পরাজিত হবার আশঙ্কায় তিনি প্রার্থী হতে সাহস পাননি বলে নেতাকর্মীরা মনে করছেন।

স্থানীয়রা জানান, তানোর উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় রাব্বানীর কিছু কর্মী-সমর্থক ও ভোট রয়েছে। কিন্ত্ত গোদাগাড়ী উপজেলায় তার তেমন কোনো পরিচিতি নেই। অথচ গোদাগাড়ীতে ভোটার সংখ্যা তানোরের প্রায় দ্বিগুন।

এবিষয়ে তানোর উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না বলেন, সাধারণ মানুষের ভাগ্যর উন্নয়ন এবং উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে নৌকার কোনো বিকল্প নাই, নৌকা হলো উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারক-বাহকের প্রতিক। তিনি বলেন, নৌকার বিজয় মানে স্বধীনতার পক্ষের শক্তি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সাধারণ মানুষের বিজয়, তাই  নির্বাচনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার পক্ষে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের আদর্শ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যারা বিশ্বাসী তারা কখানোই নৌকা প্রতিকের বিপক্ষে কাজ করতে পারেন না, যারা করছে, তারা সুবিধাবাদী তারা কখানোই আওয়ামী লীগের ভালো চাইনি এখানো ভালো চাই না।

ভোটারদের  উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ভুল থাকতে পারে তার বা তার দলের কোনো নেতাকর্মীর, এমনকি প্রার্থীর জানা অজানায় কোনো ভুলক্রটি থাকতেই পারে। কিন্ত্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কোনো ভুল করেননি, তিনি এখানো দেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। তাই আপনাদের নৈতিক দায়িত্ব মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে তার মনোনিত প্রার্থীকে বিজয়ী করা।

জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১  আসনে  আওয়ামী লীগের ওমর ফারুক চৌধুরী (নৌকা), বিএনএমের শামসুজ্জোহা (নোঙর), বিএনএফের  আল-সাআদ (টেলিভিশন), তৃণমূল বিএনপির জামাল খান দুদু (সোনালী আঁশ), এনপিপির নুরুন্নেসা (আম), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের বশির আহমেদ (ছড়ি), জাতীয় পার্টির  শামসুদ্দীন (লাঙল), মাহিয়া মাহি (ট্রাক), গোলাম রাব্বানী (কাঁচি) ও আয়েশা আক্তার ডালিয়া (বেলুন) প্রতিক নিয়ে প্রতিদন্দীতা করছেন। রাজশাহী-১ আসনে ৪টি পৌরসভা ও ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। এই আসনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৪০ হাজার ২১৮ জন। দুই উপজেলা মিলে ভোটকেন্দ্র ১৫৮টি। ভোটকেন্দ্রের কক্ষের সংখ্যা ৯৯৪ টি। অস্থায়ী ভোট কক্ষের ৫১ টি। নতুন ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৩ টি। এআসনে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১৯ হাজার ৬৫৩ জন, নারী ভোটার ২ লাখ ২০ হাজার ৫৬৪ জন। একজন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।

এদিকে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগে এমপি ফারুক চৌধুরী নৌকা প্রতিক নিয়ে অন্যদের থেকে যোজন যোজন দুরুত্বে এগিয়ে রয়েছেন। জানা গেছে, তানোরের বিভিন্ন এলাকায় এমপি ফারুক চৌধুরীর গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণায় সাধারণ মানুষের স্বত্বঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ তার জনপ্রিয়তারই প্রমাণ দিয়েছে।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট