মমিনুল ইসলাম মুন, বিশেষ প্রতিনিধি: রাজশাহীর বায়া এলাকায় জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী সরকারের হিমাগারে এক মেডিকেল শিক্ষার্থী, ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরী ও এক নারীকে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকালে এ ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। অভিযোগ অনুযায়ী, হিমাগার থেকে তিনজনকে অপহরণ করে সেখানে রাখা হয়েছিল।
স্থানীয়রা বলছেন, সাবেক চেয়ারম্যানের ছেলে আহসান উদ্দিন সরকার (জিকো) ও তার অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন এই নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পরে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা হিমাগারে ঢুকে দুই কর্মচারীকে একটি কক্ষে আটক রাখে এবং অভিযুক্ত জিকোসহ কয়েকজনকে অফিস কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখে। এসময় বিক্ষুদ্ধরা ভবন লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়ে এবং ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। পুলিশের উপস্থিতিতে উত্তেজিত এলাকাবাসি ভবনের দোতালায় হামলা চালিয়ে কাঁচের জানালা দরজা ভাংচুর করে। রাজশাহী মহানগর পুলিশ ও থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ জানায়, আহতদের মধ্যে থাকা মেডিকেল শিক্ষার্থীর দেহে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। কিশোরী অভিযোগ করেন, “আলপিন দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত করে আঘাত করা হয়েছে।” আহতদের দ্রুতই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত স্থানীয়রা হিমাগার ঘিরে ধরে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করার দাবি করেন। তবে উত্তেজনা বৃদ্ধির আশঙ্কায় পুলিশ অভিযুক্তদের নিরাপত্তার কারণে হিমাগার থেকে বের করতে পারেনি।
কেন তাদেরকে আটকে রেখে নির্যাতন করছিল তা এ খবর লিখা পর্য ন্ত সঠিকভাবে জানা যায়নি। তবে পুলিশ বিষয়টি গভীরে গিয়ে জানার চেষ্টা করছে। এ প্রতিবেদক রাজশাহী এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ ওসির মুঠোফোনে কল দিয়েও যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হয়। তবে হয়তো একটু দেরিতে ঘটনার সঠিক কারণ জানা যাবে।#