নাজিম হাসান…………………………
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় এক বিএনপির নেতার উদ্যোগে আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে থানা পুলিশ। গতকাল বৃহস্প্রতিবার ১৪ জুলাই সকাল ১১ টা থেকে ভবানীগঞ্জ পৌরসভার পাড়ারপুর এলাকার একটি খালি মাঠে এই ঈদপুণর্মিলনী অনুষ্ঠান হওয়ার কথাছিল।
এলকাবাসি সুত্রে জানা যায়,উপজলো যুবদলরে সাবকে সভাপতি ও ভবানীগঞ্জ বাজারের ব্যাাবসায়ী অধ্যাপক কামাল হোসনের নিজ উদ্যেগে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে বাগমারা উপজেলা বিএনপির সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে ঈদ পূর্ণমিলনী ও বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। ১৪ জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টা থেকে অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য অনুমতি চেয়ে গত ৫ জুলাই বাগমারা থানায় একটি আবেদন করেন। তৎকালীন ওসি মোস্তাক আহম্মেদ অনুষ্ঠান করার জন্য অধ্যাপক কামাল হোসেনকে মোখিক অনুমতি প্রদান করেন। সেই মোতাবেক অধ্যাপক কামাল হোসেন অনুষ্ঠানের সকল আয়োজন শেষ করেন।
গত ৭ জুলাই ওসি মোস্তাক আহম্মেদ জয়পুর হাট বদলী হলে নতুন ওসি হিসেবে বাগমারায় যোগদান করেন ডিবি থেকে আসা ওসি রবিউল ইসলাম। অনুষ্ঠানের সকল কার্যক্রম শেষ। কিতœু হঠাৎ করে বুধবার সন্ধ্যায় বাগমারা থানার নতুন ওসি রবিউল ইসলাম অনুমতি না নেয়ার অভিােগ তুলে অনুষ্ঠানটি বন্ধ রাখার জন্য আয়োজক অধ্যাপক কামাল হোসেনকে লিখিত ভাবে জানিয়ে দেন। সে মতাবেক আয়োজক অধ্যাপক কালাম হোসেন বৃহস্পতিবারের অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেন। অনুষ্ঠান বন্ধের বিষয়টি তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের জানিয়ে দেন। হঠাৎ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বাগমারা থানার পুলিশসহ অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান ওসি রবিউল ইসলাম।
এসময় পুলিশ দিয়ে বিএনপি’র মঞ্চ ভেঙ্গে দেয়ার কাজ করেন। পুলিশ আধাঘন্টা সময় দিয়ে সেখান থেকে চলে আসেন। অধ্যাপক কামাল হোসেন বলেন, আমি অনুমতির জন্য ৫ জুলাই বাগমারা থানায় লিখিত আবেদন করেছি। তৎকালীন ওসি মোস্তাক আহম্মেদ আমাকে মোখিক ভাবে অনুমতিও প্রদান করেছেন। অথচ নতুন ওসি এসেই এমন কর্মকান্ড শুরু করেছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাগমারা থানার ওসি রবিউল ইসলাম বলেন, অনুমতি ছাড়াই অনুষ্ঠান করার চেষ্টা করছিল। অনুমতি না থাকার জন্য তিনি অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দিয়েছেন।#