রাজশাহীর বাগমারায় চেকবই সংকটে ভোগান্তিতে ভূমি মালিকরা
-
প্রকাশের সময় :
রবিবার, ৩১ জুলাই, ২০২২
-
১৪৯
বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
# মোঃ নুর কুতুবুল আলম, বাগমারা, রাজশাহী……………………….
রাজশাহীর বাগমারায় চেকবই সংকটে খাজনা পরিশোধ করতে পারছেন না ভূমি মালিকরা। একারণে মফস্বল এলাকার সহজ সরল মানুষগুলো নানা ভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
সূত্র জানায়, ঈদুল আজহার পূর্ব থেকে চেকবই বা দাখিলা সংকট চলছে। একজন ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাট গাঙ্গোপাড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গিয়ে সত্যতা পাওয়া গেছে। আজ রবিবার সকাল দশ ঘটিকার পর অনেকেই হাটগাঙ্গোপাড়ায় ভূমিকর দিতে এসে ফেরত গিয়েছেন।
উল্লেখ্য হাটগাঙ্গোপাড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে আউচপাড়া এবং শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ জমির খাজনা পরিশোধসহ দলিল দস্তাবেজ সংক্রান্ত জরুরি প্রয়োজনে আসেন। যার কারণে বর্তমানে অতি প্রয়োজনে কেউ জমিজমা বিক্রয় বা হস্তান্তর করতে পারছেন না। ৫ নং আউচপাড়া ইউনিয়নের বেলঘরিয়া গ্রামের এক যুবক জটিল কিডনি রোগে আক্রান্ত। তিনি কিডনি ডায়ালাইসিস, চিকিৎসা , ঔষধ ক্রয় করতে গিয়ে আজ সর্বশান্ত। তিনি দুই দিন হাটগাঙ্গোপাড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে এসেছেন। কিন্তু দাখিলা সংকটের কারণে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। ঠিকমত নড়াচড়া করতে পারেন না। রৌদ্রে বের হতে সমস্যা হয়। চিকিৎসকের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাবেন। খাজনা পরিশোধ না করতে পারায় জমি বিক্রয় করতে পারেননি।
আউচপাড়া গ্রামের এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি আলাপচারিতায় এই প্রতিবেদককে জানান, বাবা আমি গরীব মানুষ, দু’দিন খাজনা দিতে গিয়ে ফেরত গেলাম। পাঁচশত টাকা মজুরিতে কাজ করি। এভাবে ঘুরতে থাকলে আমার পরিবারকে না খেয়ে থাকতে হবে। (দুই ভুক্তভোগীর নাম সংগত কারণে প্রকাশ করা হলো না)।
অফিস স্টাফ সোহাগ জানান, তহশিলদার মিটিং এ গেছেন। তহশিলদারের অনুপস্থিতিতে তাঁকেই কাজ করতে হচ্ছে। ইউনিয়ন ভূমি অফিস হাটগাঙ্গোপাড়া (বাগমারা, রাজশাহীর) ভারপ্রাপ্ত তহশিলদার সুফি এবরার আহম্মেদ বকসীর মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রায় মাস খানেক থেকে দাখিলা সংকট চলছে। আর কতদিন দাখিলা সংকট থাকতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামীকাল (সোমবার) থেকে দাখিলা সংকট /চেকবই সমস্যা থাকবে না।
বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমাদুল হাসানের সরকারি মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তাঁর নিকট সাংবাদিক পরিচয়ে ক্ষুদে বার্তা প্রেরণ করেও সাঁড়া পাওয়া যায়নি। বিধায় সহকারী কমিশনার ভূমি মাহমাদুল হাসানের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।#
এই সংবাদটি শেয়ার করুন
এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ