1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Rokon :
রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:১৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
সাদুল্লাপুরে মহিলার লাশ উদ্ধার, ছেলে ও পুত্রবধূসহ ৪ জন কে পলিশী জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বাগমারায় বিএনপির ৩১দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উঠান বৈঠক ‘যতদিন বাঁচবো খালেদা জিয়ার ও তারেক রহমানের সাথেই বাঁচবো: খাজা নাজিবুল্লাহ চৌধুরী চাঁপাইনবাবগঞ্জে উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হলো সমকাল-বিএফএফ জাতীয় বিজ্ঞান বিতর্ক প্রতিযোগিতা তানোরে“ইনসাফপূর্ণ সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় রাসুল (সা.) এর অবদান” শীর্ষক সেমিনার  শিবগঞ্জে গণসংযোগে শাহজাহান মিঞা পঞ্চগড়ে আসন ভিত্তিক শিক্ষক সমাবেশ  মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত শিবগঞ্জে উজিরপুর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভা পদ্মার পানি আস্তে আস্তে কমছে, স্বস্তি ফিরছে শিবগঞ্জবাসির ঝালকাঠির নলছিটিতে স্কুল ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলের তাল গাছে গাছে ঝুলছে বাবুই পাখির বাসা

  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ১৭ জুলাই, ২০২২
  • ১৬৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

আবুল কালাম আজাদ ……………………………..

 

রাজশাহীর প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকায়,, বিশেষ করে বরেন্দ্র জনপদ এলাকায  তাল ও নারিকেল গাছে গাছে ঝুলছে বাবুই পাখির বাসা। জেলার বিভিন্ন এলাকায় আগের মতো পর্যাপ্ত তালগাছ না থাকায় নারিকেল গাছে বাবুই পাখি বাসা বাঁধতে শুরু করেছে। বিশেষ করে জেলার  গোদাগাড়ী, তানোর, কাকনহাট, মোহনপুর  এলাকায় তালগাছ ও নারিকেল গাছে বাবুই পাখির বাসা দেখা যায়।

 

“বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চড়াই, কুঁড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই, আমি থাকি মহা সুখে অট্টলিকা পরে, তুমি কত কষ্ট পাও রোদ, বৃষ্টি ঝড়ে। বাবুই হাসিয়া কহে, সন্দেহ কি তাই? কষ্ট পাই, তবু থাকি নিজের বাসায়।” বাবুই পাখির সেই দৃষ্টিনন্দন বাসা গ্রামে-গঞ্জের উঁচু তালগাছে দেখা যেত। কিন্তু সময়ের বিবর্তন ও পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে সেই বাবুই পাখির বাসা।

 

শুধু বাবুই পাখিই নয়, প্রায় সব ধরনের পাখিই আজ হারিয়ে যাচ্ছে। আর হারিয়ে যাওয়ার এই দুঃসময়েও বাবুই পাখির কলরবে মুখরিত হয়ে উঠছে জেলার বরেন্দ্র অঞ্চলের প্রত্যন্ত মাঠে মাঠে। এই এলাকায় যেসব অতিথিরা আসেন, তারা বাবুই পাখি আর প্রকৃতির এই সৌন্দর্য় উপভোগ করেন।

 

তানরের বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমাস জানান, এক সময় এলাকায় গাছ-গাছালিতে পাখিদের কলরবে এই এলাকা মুখরিত থাকতো। আগের সেই কলরব এখন নেই বললেই চলে। তবে কিছু তাল গাছে বাবুই পাখির অসংখ্য বাসা রয়েছে। বছরের পর বছর ধরে তারা বাসা তৈরি করে বসবাস কর আসছে। তালগাছে বাবুই পাখির দৃষ্টিনন্দন বাসা ও বিচরণ খুবই আনন্দ দেয়।

 

বৃক্ষ নিধন, জলবায়ুর পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে বাবুই পাখির বাসা এখন আর তেমন একটা চোখে পড়ে না। এলাকার সচেতন ব্যক্তিরা মনে করছেন, মানুষের মধ্যে সচেতনতা আগের চেয়ে অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে ফলে পাখি শিকারিদের দৌরাত্ম অনেকটাই কমে গেছে। এখন বড় বড় তালগাছের অভাবে এই পাখিগুলো নারিকেল গাছে বাসা বাঁধছে।

 

পাখিদের উপযুক্ত পরিবেশ ও বেশি বেশি তাল গাছ রোপণ করা হলে অনায়েসে দেখা মিলবে বিভিন্ন প্রজাতির বাবুই পাখি। গ্রামাঞ্চলে এই পাখি ‘বাউই’পাখি নামে পরিচিত। বাবুই পাখি বেশ দৃষ্টি নন্দন পাখি। এদের বাসার গঠন বেশ জটিল।

 

বাবুই পাখি খড়, কচিপাতা ও কাশবনের লতাপাতা দিয়ে বাসা তৈরি করে। তাই বাবুই পাখিকে অনেকেই শিল্পী বলে ডাকেন। এরা দলবদ্ধ আর কলোনি করে জীবনযাপন করতে অভ্যস্ত। বাংলাদেশে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের বাবুই দেখা যায়। এদের মধ্যে দেশি বাবুই, দাগি বাবুই ও বাংলা বাবুই। বাসা দেখতে উল্টানো কলসির মতো। বাসা বানানোর জন্য এই পাখি খুবই পরিশ্রম করে। ঠোঁট দিয়ে ঘাসের আস্তরণ ছাড়ায়। পরে সেই আবরণ যত্ন করে পেট দিয়ে ঘষে গোলাকৃতিটি মসৃণ করে। বাসায় শুরুতে দুটি নিম্নমুখী গর্ত থাকে। ডিম পাড়ার সময় একদিক বন্ধ করে দিয়ে জায়গা তৈরি করে। অন্যদিকটি লম্বা করে প্রস্থান ও প্রবেশ পথ তৈরি করে। বাবুই পাখি সাধারণত উঁচু তালগাছের পাতা, নারিকেল গাছ, খেজুর গাছ ও কড়ই গাছে বাসা বাঁধে। তাদের শিল্প চিন্তা খুবই নিপুণ। প্রবল ঝড়-তুফানও বাসার কোনো ক্ষতিসাধন করতে পারে না।

 

এরা সাধারণত বিভিন্ন ধরনের বীজ, ধান, পোকা, খেয়ে জীবনধারণ করে। মে থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এদের প্রজননকাল। স্ত্রী বাবুই দুই থেকে চারটি ডিম পাড়ে। সেই ডিম ফুঁটতে প্রায় দুই সপ্তাহ সময় লাগে। বাবুই ছানা এক মাসেই উড়তে শিখে বলে জানা যায়।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট