নাজিম হাসান………………………….
রাজশাহীর বাগমারার তাহেরপুর পৌরসভা এলাকায় কয়েকদিনের টানা তাপদাহের পর অবশেষে দেখা পেল গুঁড়িগুঁড়ি কখনও বা মুষলধারে স্বস্তির বৃষ্টিপাত। এসময় বজ্রসহবৃষ্টি মানুষের মনে প্রশান্তির পরশ বুলিয়ে দেয়। বৃষ্টির সঙ্গে বয়ে চলা হিমেল বাতাস যেন রোদে ঝলসানো বিভিন্ন পশুপাখি ও মানুষগুলোর শরীরে এখন বাড়তি সুখানুভূতি ছড়িয়ে দিয়েছে।
কয়েকদিন থেকে ঘরে-বাইরে সর্বত্র আগুনের উত্তাপ ছিল। কোথাও এতটুকু স্বস্তি ছিল না, আগুন গরমে হাঁসফাঁস ধরে গিয়ে ছিলো প্রাণ-প্রকৃতির। এছাড়া তেঁতে উঠে ছিলো অফিস ও ঘরবাড়িতে থাকা আসবাবপত্রগুলোও। গত কয়েকদিন ধরেই তীব্র তাপদাহে জনজীবন প্রায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। বৃষ্টির জন্য মানুষের মধ্যে পড়ে গিয়ে ছিল হাহাকার। সেই দীর্ঘ প্রত্যাশায় আশার প্রদীপ হয়ে দেখা দিলো স্বস্তির বৃষ্টি। এ বৃষ্টিতে তাহেরপুর বাসির জীবনে নেমে এসেছে স্বস্তি ও আনন্দ। মঙ্গলবার (১৯ জুন) বিকাল সোয়া ৬টা দিকে আকাশে আবহাওয়ার চেহারা বদলে গেলো। নীল আকাশ ঢাকা পড়লো কালো মেঘের চাদরে। শুরু হলো বাতাস। প্রতিমুহূর্তে পরিবর্তন করছে দিক। এসময় সময়ের সাথে সাথে বাড়তে থাকে বাতাসের গতিও। প্রায় ১০ মিনিট গতিময় বাতাসের পর নেমে আসলো কাংক্ষিত স্বস্তির বৃষ্টি। কয়েকমিনিটের মধ্যেই সেই বৃষ্টিপাত বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘদিন পর বৃষ্টি হওয়ায় মানুষ আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেন অনেকে। এরপর রাত ৯টার পর আকাশ থেকে নেমে এলো মশালধারে বৃষ্টি। তবে এই বৃষ্টিপাত চলে প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপি। এরই মধ্যে মশালধারের বৃষ্টিতে শাস্তি ফিরে আসে জনজীবনে।
এবিষয়ে আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক রেজানুল হক জানান বিকাল সোয়া ৬টা দিকে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। রাত ৮ টা পর্যন্ত দুই মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়া রাত ৯টার পর আকাশ থেকে নেমে এলো মশালধারে বৃষ্টি। তবে এই বৃষ্টিপাত চলে প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপি। আকাশে মেঘ রয়েছে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। এছাড়া সকালে বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ। রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের সহকারি পর্যবেক্ষক কামাল উদ্দিন বলেন,রাজশাহীতে বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার বৃষ্টিপাত অনেক কমেছে। এটা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হচ্ছে। কেননা রাজশাহীতে যে পরিমাণ গাছ লাগানো হচ্ছে তার চেয়ে কাটা হচ্ছে বেশি। আবার নদীর নাব্যতাও কমেছে। তাপমাত্রা বাড়ার কারণ জলাশয় ও পুকুর ভরাট, বৃক্ষ নিধন, বহুতল ভবন নির্মাণ। সব মিলিয়ে জলবায়ুর উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়া আবহওয়ার খামখেয়ালিপনা বাড়ছে।#