মমিনুল ইসলাম মুন…………………………………………………………
রাজশাহীর তানোরে পুর্ববিরোধের জের ধরে সরকারি গেজেটভুক্ত (রাষ্ট্রিয় খেতাবপ্রাপ্ত) এক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রাজাকার আঙ্খাদিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অপপ্রচার করার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে ঘটনা জানাজানি হলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় সচেতন মহল ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করেছেন।
এ ঘটনায় গত ২১ আগষ্ট রাজশাহী জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ও তানোর থানা আমলী আদালতে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ মন্ডল বাদি হয়ে ৩ জনকে আসামি করে ৪৯৯/৫০০/৫০১ ও ৩৪ ধারায় একটি মামলা করে আসামিদের গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রার্থনা করেন। মামলায় আসামি করা হয় সরনজাই মন্ডলপাড়া গ্রামের মৃত গোলাম মোস্তফার পুত্র কাওসার আলী(৩০), আলাউদ্দিনের পুত্র সাতিকুল ইসলাম(৩০) এবং রাতৈল গ্রামের মৃত নেসার উদ্দিন লেসুর পুত্র নাহিদ (৩৫)।
জানা গেছে, তানোরের সরনজাই ইউনিয়নের (ইউপি) সরকারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা, রাষ্ট্রিয় খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ মন্ডল। গেজেটের ৮৫৫ নম্বরে তার নাম রয়েছে। অথচ আসামিরা উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত হয়ে একজন খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রাজাকার আঙ্খাদিয়ে অপপ্রচার করে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার সরঞ্জাই ইউনিয়নের (ইউপি) সরঞ্জাই মৌজায়, ১৮৭০ নম্বর দাগে ১৫ শতক সম্পত্তি ক্রয় করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ মন্ডল। যাহার দলিল নম্বর ২৭০২৯/৮০ এবং পিএস কেস নম্বর 36/x11/80-8। উক্ত সম্পত্তি তিনি দীর্ঘ প্রায় চার দশক যাবত শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছেন। গত ৩ আগষ্ট বুধবার সেখানে ঘর নির্মাণ শুরু করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ মন্ডল। কিন্ত্ত কথিত যুবলীগ নেতা কাউসার আলীর নেতৃত্বে কয়েকজন ঘর নির্মাণে বাধা দিয়ে চাঁদা দাবি করে। কিন্ত্ত তাদের চাহিদা মতো চাঁদা না দেয়ায় তারা শুধুমাত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে সমাজে হেওপ্রতিপন্ন করতে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রাজাকার আঙ্খাদিয়ে অপপ্রচার করেছে।