তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি…………………………………………….
রাজশাহীর তানোরে একটি শক্তিশালী ভূমিগ্রাসী সিন্ডিকেট চক্র জাল দলিল সৃষ্টি করে কয়েক কোটি টাকা মূল্যর সম্পত্তি জবরদখলের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে, সৃষ্টি হয়েছে তোলপাড়। স্থানীয়রা বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বাধাইড় ইউনিয়নের (ইউপি) খতিয়ান নম্বর ১৯০,জেল নম্বর-৪৫, ঝিনাখৈর মৌজায় বিভিন্ন দাগে প্রায় ২৫ একর সম্পত্তি রয়েছে। এসব সম্পত্তির রেকর্ডিয় মালিক প্রয়াত লোলিত মোহন মিত্রের পুত্র ব্রজেন মোহন মিত্র ও গোপী মোহন মিত্র। তারা বর্তমানে ভারতে বসবাস করছেন।
কিন্ত্ত বিগত ১৯৮৭ সালে ৩১২৮২ নম্বর (রাজশাহী সদর সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ে সম্পাদন) ভুয়া দলিল সৃষ্টি করেন ভূমিগ্রাসী জনৈক মফিজ উদ্দিন, মজদুল ও জগদুল। অথচ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী সদর সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ে উক্ত বছরে এই পরিমান দলিল সম্পাদন হয়নি।
অন্যদিকে বিগত ১৯৮০ সালের ২৮ মার্চ ৬৬০৯ নম্বর দলিল (রাজশাহী সদর সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ে সম্পাদন) দেখিয়ে সম্পত্তির মালিকানা দাবিদার। রাজশাহীর পবা উপজেলার পুর্বপুঠিয়া পাড়া গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের পুত্র সুমন আলী বিশ্বাস। অথচ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভলিউম বইয়ে এই দলিলের কোনো অস্থিত্ব নাই।
ঝিনাখৈর গ্রামের বাসিন্দা খালেক, বাচ্চু, আলাউদ্দিন ও শাফিউল বলেন, ভূমিগ্রাসী চক্রের কাছে থেকে ক্রয় দেখিয়ে জনৈক কামরুজ্জামান হেনা ও তার স্ত্রী, এমদাদ মন্ডল এবং ইব্রাহিম আলী। এসব সম্পত্তির মধ্যে দাগ নম্বর ১৫৬৮, ৩৩৩, ১৫২৬, ১৫২৫ ও ১৪২১ এই পাঁচ দাগে প্রায় ৫ একর ৪ শতক সম্পত্তির জালিয়াতির মাধ্যমে নামজারি করে নিয়েছে। অথচ দেশ স্বাধীনের আগে থেকে এসব সম্পত্তির ওপর বাড়িঘর নির্মাণ করে প্রায় শতাধিক ভুমিহীন পরিবার বংশপরম্পরায় বসবাস করে আসছে।
এদিকে রাস্ট্রপক্ষের হয়ে হোসেন বাচ্চু এসব নামজারি বাতিলের দাবিতে জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনারের (ভুমি) কাছে আবেদন করেছেন।
অন্যদিকে সাবেক ইউপি সদস্য মাহাবুর রহমান রহমান বাদি হয়ে জাল দলিল সৃষ্টিকারী ভূমিগ্রাসী সিন্ডিকেট চক্রের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতারণার মামলা করেছেন। যা আদালতে চলমান রয়েছে।এবিষয়ে জানতে চাইলে মুন্ডুমালা ইউপি ভূমি অফিসের কর্মকর্তা (তহসিলদার) রাবিউল ইসলাম বলেন, প্রয়োজনে তদন্ত করে নামজারি বাতিল করা হবে।#