# মমিনুল ইসলাম মুন, বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি…………………………
রাজশাহীর তানোরে আমনক্ষেতে ব্যাপকারে মাজরা পোঁকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন রক মের কীটনাশক স্প্রে করার পর পোঁকার আক্রমণ থামানো যাচ্ছে না।শুরুতেই দমন করা সম্ভব না হলে আমনধাণ এর উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার ব্যাপক আশংকা রয়েছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, এ বছর মাঠজুড়ে আমণখেতের চেহারা ভালোই ছিল ধান গাছ থোড় হবার আগেই পোকার আক্রমন দেখা দিয়েছে। পোকা দমনে সপ্তাহে দুই থেকে তিন বার কীটনাশক প্রয়োগ করা হলেও তেমন ফল মিলছে না। আক্রান্ত ধান গাছের গোড়ায় খুব ছোট আকৃতির এই পোকা দেখা যায়। মাজরা আক্রমণে দ্রুত ধানগাছ নষ্ট হয়ে যায়।
তানোরের কামারগা ইউপির ছাঐড় গ্রামের কৃষক পলাশ আলীী বলেন, হাতিনান্দা মাঠে তার চার বিঘা আমণখেতে মাজরা পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে, ইতমধ্যে দুবার কীটনাশ প্রয়োগ করা হলেও কাঙ্খিত ফল পাওয়া যায়নি। একই ইউপির কামারগাঁ গ্রামের কৃষক স্বপন চন্দ্র প্রামানিক বলেন, আব্দুল্লাহপুর মাঠে তার ৫ বিঘা আলাতন আলীর ৬ বিঘা, আক্কাশ আলীর ৪ বিঘা, উসমান আলীর দেড় বিঘা ও লতিব মন্ডলের ১০ বিঘা আমণখেতে মাজরা পোকার আক্রমন দেখা দিয়েছে। এছাড়াও মাঠের প্রায় প্রতিটি আমণখেতে কম বেশী পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে।
কৃষক পলাশ বলেন, এখন পর্যন্ত দুবার বিষ স্প্রে করেছি, তবুও কাজ হচ্ছে না। তারা বলেন, মাঠ পর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের তারা নিয়মিত কাছে পাচ্ছেন না। তাহলে কি তানোর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের বিশাল বাহিনী নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছেন না নিরবে মাঠে কাজ করছেন-এ প্রশ্ন অনেকের।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় বৃষ্টির নির্ভর রোপা-আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ২২ হাজার ৪৩৫ হেক্টর। এবারে বিভিন্ন জাতের আমন ধান আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সোনার বাংলা ও ব্রি-৫১ জাতের ধান বেশী।
উপজেলা কৃষি অফিসের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উপ সহকারী কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে যে আবহাওয়া বিরাজ করছে তা ধানের জন্য অনুকূল নয়। এ কারণে পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা মাঠে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি, আশা করি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।
এবিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেস্টা করা হলেও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুঠোফোনে কল গ্রহণ করেননি, এমনকি ক্ষুদে বার্তা দেয়া হলেও তিনি সাড়া না দেয়ায় তার কোনো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।#