# জাহিদুল ইসলাম, গোদাগাড়ী (রাজশাহী) প্রতিনিধি………………………
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রচন্ড গরম আর ঘনঘন লোডশেডিংয়ের প্রতিযোগিতায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৮ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকছেনা বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী ।
বেশকিছুদিন ধরে উপজেলায় তীব্র লোডশেডিং চলছে। বিদ্যুতের অভাবে জনজীবনে চলছে অচল অবস্থা। কয়েকদিন থেকে প্রচন্ড গরম ও দেখা দিয়েছে। গরমের তীব্রতায় এলাকার মানুষ গুলো অসহায় হয়ে পড়েছে। তারা দোয়া ও নফল নামাজ আদায় করে মহান আল্লাহুর দরবারে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করছেন। বেশির ভাগ সময় রাতে বিদ্যুৎ থাকছে না দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষগুলো রাতে শান্তি করে ঘুমাতে পারছেনা এই লোডশেডিং ও গরমের জন্য। কোন কোন সময় এর চেয়ে কম বিদ্যুৎ তারা পাচ্ছেন।
বর্তমানে উপজেলায় বিদ্যুৎ কখন যায় কখন আসছে তার ঠিক নেই। এলাকায় প্রচলিত রয়েছে গোদাগাড়ীতে বিদ্যুৎ যায় না আসে। এছাড়াও প্রচন্ড গরমের কারণেও বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় লোডশেডিং করতে হয় বলে অফিস সূত্রে জানাগেছে। লোডশেডিংয়ের কারণে বৈদ্যুতিক পাখা বন্ধ থাকায় উপজেলাবাসী গরমে হাবুডুবু খাচ্ছেন। বর্তমানে যে লোডশেডিং চলছে উপজেলাবাসী তাকে ভায়াবহ লোডশেডিং বলে জানিয়েছেন।
এলাকায় বিদ্যুতের আসা যাওয়ার প্রতিযোগিতায় অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। দিন-রাতে অতিরিক্ত গরম আর বিদ্যুতের লোডশেডিং এর কারণে অধিকাংশ পরিবারের শিশু থেকে বৃদ্ধরা অসুস্থ্য হয়ে পড়ছেন। এছাড়াও লোডশেডিং এর ফলে উপজেলার ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্প কলকারখানার উৎপাদন কম হচ্ছে। এতে করে তারা লোকসানে মুখে পড়বে বলে মালিকগণ অভিযোগ করেন। সরজমিনে ঘুরে ও খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, এখন লোডশেডিং এর মাত্র আরোও ভয়াবহ পর্যায়ে চলে গেছে। প্রতিদিন গড়ে ৫ থেকে ১০ বার বিদ্যুৎ যাচ্ছে।
লোডশেডিং এর কারণে উপজেলাবাসী কোন মতে দিন পর করলেই রাত হলেই তাদের মঝে নেমে আসে চরম দুভোর্গ। সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয় বিদ্যুতের ভেলকিবাজি তা চলে গভীর রাত পর্যন্ত। এতে রাতের ঘুম হারাম হয়ে পড়েছে তাদের। এ বিষয়ে গোদাগাড়ী বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, আমাদের কিছু করার নেই। বিষয়টি আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে এ কর্মকর্তা জানান।#