1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Rokon :
রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ০৩:৪৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
বাঘায় মায়ের ঈদুল ফিতরে আর কোরবানির ঈদে কন্যার জন্ম রাজশাহী অঞ্চলবাসীকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’র – কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক ও রাজশাহী অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক ইমরান ইমন ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপি’র নেতা মোঃ পারভেজ ভালোবাসলেই সবার সাথে ঘর বাঁধা যায়না, হাজার বছর পাশে থাকলেও কেউ কেউ আপন হয়না…… পঞ্চগড়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের চেকপোষ্ট বসিয়ে তল্লাশি  ভূরুঙ্গামারীতে বিয়ের ৩ সপ্তাহের মাথায় নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছে শিবগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহা আব্দুল বাতেন বাঘায় গরু কেনা প্রায় শেষ, এখন ছাগলে তোড়জোড়, সরকারি রেটে খাজনা আদায়ে স্বস্তিতে ক্রেতা-বিক্রেতা বাঘায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বাপার বৃক্ষরোপণ

রাজশাহীতে মধ্যবিত্তের ক্রয়ের নাগালের বাইরে ইলিশ,গরিবের পাতে শুন্য

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর, ২০২২
  • ১২১ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

আবুল কালাম আজাদ …………………………………..

রাজশাহীতে মধ্যবিত্তের সাধ্যের বাইরে চলে গেছে ইলিশ। আর গরিবের পাতে তো দেখাই পড়ছেই না ইলিশ। অথচ এক সময় বর্ষায় ইলিশ ধনি-গরিব সবার পাতেই থাকত বলে জানিয়েছেন রাজশাহীর অনেকেই।

 

৪ অক্টোবর মঙ্গলবার রাজশাহীর বাজারে প্রতিকেজি ইলিশ সাইজ অনুযায়ী বিক্রি হয় ৮শ’ থেকে ১৮শ’ টাকা দরে। এ বছর শুরু থেকেই প্রায় একই দামে ইলিশ বিক্রি হয়ে আসছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে এ বছর মধ্যবিত্তদের নাগালের বাইরে অবস্থান করছে ইলিশ।

 

রাজশাহীর ইলিশের বড় আড়ৎ হলো নগরীর নিউমার্কেট এলাকায়। এখানে প্রতিদিন ভোরে পিকআপ ভ্যানে বা বাসের লাগেজ বাক্সে আসে ইলিশ। এর পর সকাল থেকেই শুরু হয় পাইকারী দরে ইলিশ বেচা-কেনা। গতকাল এ বাজারে পাইকারী প্রতিকেজি ৭০০-৮০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৮০০-৯০০ টাকা কেজি দরে। আর এক কেজি সাইজের ইলিশগুলো বিক্রি হয়েছে ১২-১৩শ টাকা দরে। দেড় কেজি সাইজের ইলিশ গতকাল তেমন আসেনি বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। তার পরেও যেগুলো এসেছে, সেগুলো বিক্রি করতে দেখা গেছে ১৬-১৮শ টাকা কেজি দরে।

 

এ আড়তের পাশেই খুচরা ইলিশ বিক্রি করেন আলাউদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, এখন ভরা মৌসুম। কিন্তু ইলিশের তেমন আমদানী নাই। এ কারণে এবার ইলিশের দাম শুরু থেকেই চড়া। বাজারে যারা ইলিশ কিনতে আসেন, তাদের অধিকাংশই উচ্চবিত্ত পরিবারের লোকজন। তারাই সাধারণত ইলিশ কেনেন। মধ্যবিত্তের অল্প পরিমাণে ক্রেতা আসলেও তাঁদের চাহিদা থাকে ৭০০-৮০০ গ্রামের ইলিশের দিকে।

 

আরেক ব্যবসায়ী নাজমুল হোসেন বলেন, ‘এক কেজি বা তার ওপরে হলেই ইলিশের দাম প্রায় দ্বিগুন থাকছে এবার। আবার ছোট আকারের ইলিশের তেমন সাদ থাকে না বলে মধ্যবিত্তরা সেটিও নিতে চান না। ফলে বাজারে ইলিশের ক্রেতা ধনি লোকজন।

 

এ বাজারে ইলিশ কিনতে আসা আজাহার আলী বলেন, ‘গত প্রায় এক মাস ধরে ভ্যাবছি ইলিশ কিনব। কিন্তু দাম তো কইমছে না। তাই কিনতে আশার সাহস পাইনি। আজ বাড়িতে লোকজন আসবে, তাই ইলিশ কিনতে অ্যাসেছি। দেখি দাম আরও বেশি। তার পরেও ৭০০-৮০০ গ্রামের একটা ইলিশ কিনলাম। বছরে এই প্রথম ইলিশ খাওয়া হবে।

 

আজাহার উদ্দিন বলেন, ‘আমরা যারা মধ্যবিত্ত পরিবারের লোক, তাদের এখুন অন্যান্য জিনিসপত্র কিনতেই হিমশিম খ্যাতে হচ্ছে। এতো টাকা দিয়ে ইলিশ কিনবো কী করে।

 

ইলিশ কিনতে আসা একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের বাড়ির সবারই পছন্দ ইলিশ। কিন্তু এবার দাম চড়ার কারণে বেশি কিনতে পারিনি। তার পরেও তিন-চার দিন কিনেছি। আজ আবার এসেছি দুইটা ইলিশ কিনতে। এক কেজি সাইজের ইলিশগুলো কিছুটা পছন্দ হলেও দাম চড়া।

 

রাজশাহীর মারুফ নামেট এক প্রবীণ ব্যক্তি বলেন, ‘১৫-২০ বছর আগেও বর্ষায় ধনি-গরিব সবার পাত উঠতো ইলিশ। এখন গরিবেরা আর ইলিশ কিনতে পারেনা।দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির বাজারে মানুষ ভাত-তরকারি খাবে না ইলিশ খাবে?#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট