যশোর অভয়নগর উপজেলায় জহিরুল ইসলাম শ্বাসরুদ্ধ করে স্ত্রী ও তার দুই মেয়েকে হত্যা করেছে
-
প্রকাশের সময় :
শনিবার, ১৬ জুলাই, ২০২২
-
১৮৬
বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
উৎপল ঘোষ, (ক্রাইম রিপোর্টার)যশোর…………………………..
যশোরঅভয়নগর উপজেলায় জহিরুল ইসলাম ওরফে বাবু (৩৫)) নামের এক ব্যক্তি শ্বাসরোধ করে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার ১৫ জুলাই উপজেলার চাঁপাতলা গ্রামের কলাবাগানে।এ ঘটনায় জড়িত জহিরুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে জহিরুলের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বিথী(২৮) এবং দুই মেয়ে সুমাইয়া (৯)ও সাফিয়া (২)কে হত্যা করে।জহিরুল ইসলাম যশোর সদর উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের মশিয়ারের ছেলে।
পুলিশ জানায়,দুপুরে স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বিথী দুই মেয়েকে নিয়ে অভয়নগর উপজেলার সিদ্দিপাশা গ্রামের শ্বশুর বাড়ি থেকে সদর উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন ল্ম্টট নরপিশাচ জহিরুল ইসলাম। বেলা আনুমানিক দেড়টার দিকে তারা উপজেলার ভৈরব নদের নগর খেয়াঘাট পার হয়ে চাঁপাতলা গ্রামে পৌঁছান।তখন পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বাকবিতণ্ড চলছিল।চাপাতলা গ্রামে কলাবাগানের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় স্ত্রী ও দুই অবুজ মাছুম মেয়েকে গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে একই জায়গায় হত্যা করে ফেলে রেখে চলে যায় নরপিশাচ জহিরুল ইসলাম।এরপর লাশ বাগানে ঘাসের মধ্যে ফেলে রেখে বাড়িতে চলে যায়। বাড়িতে ফিরে গেলে জহিরুলের চোখে মুখের দিকে স্বজনেরা লক্ষ্য করলে সন্দেহ হলে জিজ্ঞেস করে স্ত্রী সন্তান কোথায়? কোন উপায় ছিল না।শেষ পযর্ন্ত স্বীকার করে।
বিকেল পাঁচটার দিকে স্বজনের জহিরুলকে আটকিয়ে বসুন্দিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেন।সন্ধ্যার দিকে বসুন্দিয়া পুলিশ ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক (এস আই) সাইফুল ইসলাম জহিরুল ইসলামকে আটক করে।তবে রাত আটটা পযর্ন্ত তিনটি লাশই ঘটনাস্থলে পড়ে ছিল। নরপিশাচ জহিরুল ইসলামের শ্বসুর মজিবর রহমান প্রতিবেদককে বলেন,মাসখানেক আগে আমার মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিন দুই নাতনীকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসে।আজ জামাই জহিরুল তাদের নিতে আসে। ১৫ জুলাই শুক্রবার আমাদের বাড়ি হতে প্রায় ১১টার সময় রওনা হয়।এরপর বিকাল পাঁচটার দিকে মোবাইলের মাধ্যমে জানতে পারে যে, ছেলেকে আটক করে আমরা পুলিশে দিয়েছি।আপনারা দ্রুত চলে আসেন।এর পর চাঁপাতলা গ্রামে এসে জানতে পারি মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিন বিথী ও দুই নাতনীকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেছে ঐ নরপিশাচ জামাই।
মজিবর রহমান কান্না কন্ঠে আরও জানান, আমার মেয়েকে ১৩ বছর আগে জহিরুল ইসলাম বাবুর সাথে বিয়ে দিই।বিবাহের পর থেকে জামাই কারণে অকারণে আমার মেয়ের উপর শারিরীক ও পাশবিক নিযাতর্ন চালিয়ে আসছিল।বাকবিতন্ড ছিল নিত্যদিনের সাথী।এলাকার অনেকেই বলেছেন, জহিরুল ইসলাম মাদকাসক্ত।সাবিনা ইয়াসমিন সম্পর্কে কেউ খারাপ মন্তব্য করেনি।ছিল অত্যান্ত পরিশ্রমী।
বসুন্দিয়া পুলিশ ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক (এস আই) সাইফুল ইসলাম জানান, জহিরুল ইসলাম এর স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বিথী এবং দুই মেয়ে সুমাইয়া ( ৯)সাফিয়া (২)কে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।তাকে গ্রেফতার করে অভয়নগর থানায় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রাত প্রায় নয়টার দিকে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)কে এম শামীম হাসান বলেন, জহিরুল ইসলামের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বিথী ও তার দুই মেয়ের হত্যার কথা নরপিশাচ স্বীকার করেছেন।তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।জহিরুলকে নিয়ে রাতেই ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে।লাশ এখনো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।#
এই সংবাদটি শেয়ার করুন
এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ