নিজস্ব প্রতিবেদক………………………………..
রাজশাহীতে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ৬০ কর্মী নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে অনুসরণ করা হয়নি মুক্তিযোদ্ধা কোটাও। লিখিত পরীক্ষায় পাশকৃত চাকরিপ্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার নামে দেওয়া হয়েছে পছন্দের লোকজনকে চাকরি। যদিও এখনো চূড়ান্তভাবে উর্তীনদের নিকট এখনো নিয়োগপত্র পাঠানো হয়নি। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে নিয়োগপত্র প্রার্থীদের স্ব স্ব ঠিকানায় পাঠানো হবে বলে জানানো হয়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আয়শা আক্তার পলি খাতুন নামের এক ভুক্তভোগী চাকরীপ্রত্যাশি অভিযোগ করেছেন বিভিন্ন দপ্তরে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাজশাহী জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আওতায় উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক, পরিবার কল্যাণ সহকারী ও আয়া পদে ৪ বিভগে মোট ৬০ জন নিয়োগের জন গত বছরের ২২ আগস্ট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ কর। ওই এর পর কয়েক হাজার আবেদনপত্র জমা পড়ে। যার মধ্যে গত ৪ নভেম্বর লিখিত পরিক্ষায় ৪টি ক্যাটেগরিতে ২৪১ জন লিখিত উত্তীর্ণ হন। এঁদের মধ্যে পরিবার কল্যাণ সহকারী পদে গত ৯ থেকে ১২ নভেম্বর উত্তীর্ণদের ডাকা হয় মৌখিক পরীক্ষার জন্য। এর পর ১২ নভেম্বর মৌখিক পরীক্ষায় চুড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ ৪৫ জনের তালিকা দেওয়া হয় ওয়েব সাইটে।
কিন্তু এ নিয়োগে মানা হয়নি মুক্তিযোদ্ধা কোটা। এর ফলে দুর্গাপুরের দেলুয়াবাড়ি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে একজন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আবেদন করে লিখিত পরীক্ষায় পাশ করলেও মৌখিক পরীক্ষার নামে ওই প্রার্থীকে বাদ দেওয়া হয়। এতে বাদ পড়েন দুর্গাপুরের শালঘোরিয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত বজলুর রশিদের কন্যা আয়শা আক্তার পলি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার বাবা একজন মুক্তিদ্ধা। আমি দুর্গাপুর উপজেলার দেলুয়াবাড়ী ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ড থেকে মুক্তিযোদ্ধা কোটা অনুসরণ করে পরিবার পরিকল্পনা অধিপ্তরে চাকরির জন্য আবেদন করি। লিখিত পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলাম। কিন্তু মৌখিক পরীক্ষার নামে আমার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কোটা অনুসরণ না করে একমাত্র প্রার্থী হওয়া সত্তেও আমাকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। দেওয়া হয়েছে সাধারণ কোটা থেকে। এটি করা হয়েছে অনিয়ম করে অর্থের বিনিময়ে। অনিয়ম না হলে আমি চাকরি পেতাম। আমি এর প্রতিকার চাই। এ নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করে নতুন করে প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। না হলে আমি আইনের আশ্রয় নিব।
এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে দুর্গাপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম হিরু বলেন, একমাত্র মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে যেখানে চাকরি দেওয়া হয়নি, সেকানে অনিয়ম হয়েছে বলে দরে নিতে হবে। মুক্তিযোদ্ধার কোটার কথা বলে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে বঞ্চিত করা হয়, সেখানে স্বচ্ছতার কোনো প্রশ্নই আসে না। এর মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে হেয়প্রতিপন্ন করা হয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা পরিবার পরিকল্পনা জনবল বাছাই-নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব ও উপ-পরিচালক ড. কস্তুরী আমিনা কুইন বলেন, ‘নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনো অনিয়ম হয়নি। স্বচ্ছতা নিয়েও কোনো প্রশ্ন নাই। কোনো তদবির বা অর্থ লেনদেনের সুযোগ নাই।#