ভোলাহাট প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিদা আক্তারের বদলী শুনে গোটা উপজেলাবাসী যেনো দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে স্বস্তির প্রাণ ফিরে পেয়েছে বলে প্রত্যক্ষ করা গেছে।
সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও অতিরিক্ত দায়িত্বে সহকারী কমিশনার(ভূমি) হিসেবে এ উপজেলায় পদার্পণ করেন। তিনি শুরুটা ভালভাব দেখালেও পরবর্তীতে শেষ সময় পর্যন্ত নানা অনিয়ম, জোর-জবরদস্তি আর খবরদারী করে উপজেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে এসি(ল্যাণ্ড) এমনকি বিভিন্ন শিক্ষা দপ্তরেও খবরদারী করেছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলিতে ইউএনও’র ব্যাপারে নানা অভিযোগ উঠে আসে। কোন প্রাতিষ্ঠানিক ন্যায় বিচার পাবার অভিযোগ দিলে, তাঁদের সাথে তিনি অপব্যবহার করার দৃশ্য পরিলক্ষিত হয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ইউএনও’র বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ উঠে আসে। মাটিকাটা, লিখিত ছাড়া অবৈধভাবে বালু উত্তোলন আদেশ, জমির নামজারীতে অতিরিক্ত টাকা আদায়, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ন্যায় বিচারের পাবার আশায় আবেদনকারীর সাথে অসাদাচরণ ও অনীহা, সরকারী-বেসরকারী কাজে তড়িঘড়ি করার পাঁয়তারা, হাট ইজারার টাকা বকেয়া রাখার বিনিময়ে ঘুষ নেয়া। এছাড়াও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথেও ছিল অমিল, কর্মচারীদের বিল আটকে রাখা, দাফাদার-চকিদারদের সাথে অপব্যবহার, উপজেলা ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসগুলোতে লোক নিয়োগ করে ঘুষের রাজত্বে পরিণত করা, প্রেক্ষিতে পত্রিকায় নিউজ হলে নানাভাবে তার অফিসে ডেকে মিমাংশা হলেও পরবর্তীতে কোর্টের নামে লিখিতভাবে ডেকে পাঠানোর নামে হয়রানী করাসহ মামলা দেন তিনি মিডিয়া কর্মীদের নামে।
উল্লেখ্য যে তিনি এর আগের শাহাহানপুর উপজেলা হতে বদলী হবার শেষ কর্মদিবসে ইউএনও, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও অফিস সহকারীর কক্ষ হতে ৩টি কম্পিউটার হার্ডডিস্ক, ১টি ল্যাপটপ ও ২টি সিসি ক্যামেরাসহ হার্ডডিস্ক উধাও হবার ঘটনা ব্যাপকভাবে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
ইউএনও তাহমিদা আক্তার অবশেষে ভোলাহাট হতে গত ১৪ জানুয়ারী ২০২৫ তারিখে রাষ্ট্রপতির প্রজ্ঞাপনে তিনি ভোলাহাট উপজেলার হাজারো মানুষের নানা অভিযোগ মাথায় নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে সদর দপ্তরের বিভাগীয় ভূ- সম্পত্তি কর্মকর্তা হিসেবে বদলী হওয়ায় উপজেলাবাসী স্বস্তির দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বাঁচলেন।#