বিশেষ প্রতিনিধি……….
রাজশাহীর বাঘায় মসজিদে আযান দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় ২ জন আহত হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার (৭ জুলাই) দুপুরে আড়ানী ইউনিয়নের উত্তর সোনাদহ পশ্চিমপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, আড়ানী ইউনিয়নের উত্তর সোনাদহ পশ্চিমপাড়া গ্রামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মহিদুল ইসলাম ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিঠু মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক নের্তৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিঠুর ভাতিজা জিনারুল ইসলাম রোববার যোহরের নামাজের আযান দিতে আসেন। এ নিয়ে ইমামের সাথে তর্ক লাগে। এক পর্যায়ে মসজিদের ইমাম মাইকে প্রচার করে কিছু লোকজন হামলা করতে এসেছে। তার কথায়, মসজিদের সদস্য শহিদুল ইসলাম সেন্টু ও মানিক হোসেন এগিয়ে আসেন। এ সময় মিজানুর রহমান মিঠুর লোকজন লোহার রড়, বাঁশের লাঠি, বালিট, হাসুয়া নিয়ে শহিদুল ইসলাম সেন্টু ও মানিকের উপর হামলা করে। এ হামলায় তারা নাকে,মুখে মাথায় লেগে গুরুতর আহত হন। সজ্ঞাহীন অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়।
মসজিদ কমিটির সভাপতি মহিদুল ইসলাম ও স্থানীয় সেলিম উদ্দিন বলেন, মসজিদকে কেন্দ্র আবদুর রশিদ, ফজল হোসেন, মসলেম উদ্দিন, মিজানুর রহমান মিঠু দীর্ঘদিন থেকে ফ্যাসাত করে আসছে। সমাজের ১১০ পরিবার একত্রিত হয়ে তাদের সমাজ থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে মসজিদে গিয়ে সময়ে অসময়ে দ্বন্দ্ব লাগায়।
মসজিদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিঠু বলেন, তারা এককভাবে সমাজকে নেতৃত্ব দিতে চায়। প্রতিবাদ করায় তারা একত্রি হয়ে আমদের সমাজ থেকে আলাদা করে রেখেছে। আমার ভাতিজা আযান দিতে গেলে তারা আযান নিতে বাধা দেয়। এ দিয়ে ইমামের সাথে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে।
মসজিদের ইমাম সামসুল ইসলাম বলেন, আমি বাইরে থেকে এখানে এসে ইমামতি করি। যখন তখন এসে সময় হওয়ার আগে জিনারুল মসজিদে এসে আযান দেয়। এ নিয়ে নিষেধ করায় আমাকে আক্রমন করে। আমি বাধ্য হয়ে মাইকে প্রচার করি। তার কথা শুনে দুই সদস্য এগিয়ে আসলে তাদের উপর হামলা করে।
এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, খবর জানার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে দিয়েছি। তবে এ বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।#