বিশেষ প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘায়, প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে প্রচন্ড গরমে হাঁপিয়ে উঠেছিল মানুষ। তাপপ্রবাহে গরমে অতিষ্ঠ জনজীবনে স্বস্তি এনে দিয়েছে গত শনিবার (২৫ মে’২৪) রাতের ভারী বৃষ্টি। কিন্তু সর্বনাশ হয়েছে, ৪র্থ ধাপে অনুষ্ঠিত বাঘা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের। দড়িতে ঝোলানো সব প্রার্থীরই পোস্টার বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে। এর ফলে প্রার্থীদের ব্যয় বেড়ে গেলেও লাভবান হবে ছাপাখানাগুলো।
গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত উপজেলায় থেমে থেমে ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দড়িতে দড়িতে ঝোলানো প্রার্থীদের পোস্টার বৃষ্টিতে ভিজে ছিঁড়ে পড়েছে রাস্তায়। আবার নতুন করে পোস্টার ছাপানোর অর্ডার দিয়েছেন প্রার্থীরা। ফলে ছাপাখানাগুলোয় আবারও ব্যস্ততা বেড়েছে।
বাঘা উপজেলায় ভোট হবে আগামী ৫জুন। চেয়ারম্যান পদে ২জনসহ মোট আটজন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গত ২০ মে’২৪ প্রতীক পাওয়ার পর নির্বাচনী আচরনবিধি মেনে প্রার্থীরা বিভিন্ন এলাকায় দড়ি দিয়ে পোস্টার ঝুলিয়েছিলেন। রোববার(২৬ মে’২৪) উপজেলার সদর এলাকার বাঘা-ঈশ্বরদী রোড, বাঘা আড়ানি রোডসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রার্থীদের পক্ষে দড়ি দিয়ে যেসব পোস্টার ঝোলানো হয়েছিল, সেগুলো বৃষ্টিতে ভিজে ছিঁড়ে তা সব রাস্তায় পড়ে আছে। শুধু সড়কগুলোই নয়, উপজেলার অলিগলিতে যত পোস্টার ছিল সব ভিজে নিচে পড়ে গেছে। উপরে ঝুলছে শুধু দড়ি।
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা খাতুন লতা(কলস) জানান, প্রায় ১৩ হাজার পোস্টার দড়ি দিয়ে টানিয়ে ছিলাম। বৃষ্টির কারণে তাঁর সব পোস্টার ভিজে রশি থেকে ছিঁড়ে মাটিতে পড়ে গেছে। চেয়ারম্যান প্রার্থী রোকনুজ্জামান রিন্টু (আনারস) বলেন,বৃষ্টিতে তার প্রায় ১ (এক) লাখ পোস্টার নষ্ট হয়ে গেছে। এর ফলে ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট লায়েব উদ্দীন লাবলু (মোটরসাইকেল) বলেন, এখন নতুন করে আবার পোস্টার ছাপিয়ে ঝোলাতে হবে। ইতোমধ্যে প্রেসে অর্ডার দিয়েছেন। তাদের মতো সব প্রার্থীরই পোষ্টার বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে।
বাঘার সদর এলাকার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম বলেন, প্রচন্ড তাপদাহে পুরো উপজেলাবাসী যখন অতিষ্ঠ ছিল ঠিক তখনই নেমে আশা বহুল কাঙ্খিত বৃষ্টি মানুষের মাঝে সস্তি ফিরে এসেছে। তবে প্রার্থীদের টানানো পোস্টার বৃষ্টিতে ভিজে মাটিতে ছিঁড়ে পড়ে গেছে। এতে আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়তে হয়েছে প্রার্থীদের। এ যেন কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ। #