জিয়াউল কবীর……………………………………………..
সাংবাদিক পেটানো মামলার আসামীকে গ্রেফতার ও তাকে নির্বাহী পরিচালকের পদ অপসারণের দাবিতে আজ বুধবার বেলা ১১টায় নগরীর দরিখড়বোনার মোড়ে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে রাজশাহীতে কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত ২৪ অক্টোবর সাংবাদিকদের ওপর হামলার অন্যতম আসামী বিএমডিএর ভান্ডাররক্ষক মো. জীবনের জামিন হয়। জামিনে বের হওয়ার পর কারাগারের মূল ফটকে বিএমডিএর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে জীবনকে গলায় ফুলের মালা পরিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এছাড়া গতকাল সোমবার আশেপাশের চারটি জেলা থেকে অফিস ছুটি না নিয়ে বিএমডিএর প্রধান কার্যালয়ে কর্মচারীদের ডেকে এনে সমাবেশ করে সাংবাদিকদের হুমকি প্রদান ও গালিগালাজ করা হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিচারাধীন মামলার অন্যতম আসামী জীবনকে যেভাবে বিএমডিএ কার্যালয়ে সংবর্ধনা ও কর্মচারীদের ডেকে এনে সমাবেশ করা হয়েছে তা শিষ্টাচারবর্হিভূত ও আইনবর্হিভূত। একটি প্রতিষ্ঠান কতটা স্বেচ্ছাচারী হলে এ ধরণের ঘটনা ঘটাতে পারে বলে প্রশ্ন তুলেন বক্তারা।
তারা এই ধৃষ্টতাপূর্ণ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান এবং নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রশিদের অপসারণ দাবি করেন। গত ৫ সেপ্টেম্বর বিএমডিএর প্রধান কার্যালয়ে লাইভ সম্প্রচারের সময় এটিএন নিউজের রাজশাহী প্রতিনিধি বুলবুল হাবিব ও ক্যামেরাপার্সন রুবেল ইসলামের ওপর হামলা চালায় বিএমডিএর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এ ঘটনায় সেদিন রাতেই বিএমডিএর নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রশিদকে প্রধান আসামী করে মামলা দায়ের করেন বুলবুল হাবিব। সমাবেশে বক্তারা দ্রুত এ মামলার চার্জশিট দেওয়ার জন্য পুলিশের প্রতি আহ্বান জানান। সমাবেশে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হকের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান খান আলম, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব রাশেদ রিপন, সদস্য বদরুল হাসান লিটন, শরীফ সুমন, সাংবাদিক ইউনিয়নের সিনিয়র সদস্য সৌরভ হাবিব, রাজশাহী ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ।#