1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Rokon :
বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:০৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
রূপসায় প্রিমিয়ার ফুটবল লীগের উদ্বোধন বাঘায় শিক্ষকদের-কর্মচারীদের তিন দফা দাবি আদায়ে মানবন্ধন শিক্ষক–কর্মচারীদের নায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গোদাগাড়ীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ  আত্রাইয়ে বন্যার বিলের পানি কমায় ছিপ বড়শি দিয়ে মাছ ধরার ধুম পড়েছে শেষ পর্যন্ত তায়কোয়ানডো ক্যাম্প থেকে ছিটকে গেলেন স্বর্ণজয়ী দিপু চাকমা বদরগঞ্জে অবৈধভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ, ক্লাস বন্ধ করে সংবর্ধনা, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ প্রকাশ  চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ভূমি দখল ও প্রাণনাশের হুমকি,  নিরাপত্তা হিনতায় ভুগছে প্রবাসী পরিবার শিবু দাসের নেতৃত্বে পুঠিয়ায় মাদকবিরোধী টাস্কফোর্স অভিযান,  ৫ জন আটক ভোলাহাটে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত সারিয়াকান্দি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচন বিষয়  শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময়

বদরগঞ্জে অবৈধভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ, ক্লাস বন্ধ করে সংবর্ধনা, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ প্রকাশ 

  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫
  • ২৩ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
# ফারুক হোসেন নয়ন, বদরগঞ্জ, (রংপুর) প্রতিনিধি: রংপুরের বদরগঞ্জে ময়নাকুড়ি দারুসুন্নৎ আলিম মাদ্রাসার নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করে আইনকে বৃদ্ধা আঙ্গুলি দেখিয়ে প্রভাষক এ এস আবু বকর সিদ্দিককে অবৈধভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ। অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়া ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কে খুশি করতে  মাদ্রাসার ক্লাস বন্ধ করে ওই অধ্যক্ষকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন,বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহভাপতি ও ওই মাদ্রাসার এডহক কমিটি’র সভাপতি অ্যাডভোকেট মোকসেদুল হক। মাদ্রাসায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ একেএম মামুন-অর- রশিদ থাকা অবস্থায় জোরপূর্বক আরেকজনকে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষর চেয়ায়ে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়ে বসিয়েছেন তারা। মাদ্রাসা ক্লাস বন্ধ রেখে সংবর্ধনা দেওয়ার ঘটনায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ফোন্ড।
আলিম মাদ্রাসা সূত্রে জানাযায়, ১৯৩৭ সালে মাদ্রাসাটি স্থাপিত হয়। বর্তমানে প্রথম শ্রেণি থেকে আলিম শাখা পর্যন্ত ৪২৬জন শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষক কর্মচারীর সংখ্যা সর্বমোট ৩১জন। এই মাদ্রাসায় নামে আবাদি জমি আছে প্রায় ২০ একর। ২০২২ সালের ৪ এপ্রিল অধ্যক্ষ হাফিজার রহমান অবসর গ্রহণ করেন। জৈষ্ঠতার ভিত্তিতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পাওয় কথা প্রভাষক এ এস আবু বক্কর সিদ্দিকের। কিন্তু তিনি ওই সময়ে দায়িত্ব নিয়ে অপরাগত প্রকাশ করেন উপায় না পেয়ে তৎকালীন ইউএনও ও ওই মাদ্রালার অ্যাড হক কমিটির সভাপতি আবু সাঈদ ওই মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দায়িত্ব দেন  প্রভাষক একে এম মামুন-অর-রশিদকে দায়িত্ব বুঝে দেন।
গত ১৮ জুন ২০২৫ ইং মাদ্রাসায় অ্যাড হক কমিটির সভাপতি দায়িত্ব পান   বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট মোকসেদুল হক। অভিযোগ রয়েছে, অ্যাডভোকেট মোকসেদুল হক মাদ্রাসার সভাপতি হবার পর থেকেই ওই মাদ্রাসায় শিক্ষক সভাপতির ছেলে ওবায়দুল হক। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ একেএম মামুন-অর-রশিদের কাছ থেকে আগে তেমন সুবিধা নিতে পারেননি তাই শিক্ষক ওবায়দুল হকের বাবা মাদ্রাসার সভাপতি ও উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি হওয়ায় সভাপতি’র ছেলে হিসাবে শিক্ষক ওবায়দুল হক বিএনপি’র দলীয় দাপট দেখিয়ে বিভিন্ন ভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ একেএম মামুন-অর-রশিদকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করছেন। সভাপতির ছেলে  শিক্ষক ওবায়দুল হক কয়েকজন শিক্ষককে ম্যানেজ করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ একেএম মামুন-অর-রশিদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে। গত বুধবার তাঁর বিরুদ্ধে ইউএনও’র কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েই । ওইদিনেই কৌশলে প্রভাষক এ এস আবু বক্কর সিদ্দিককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ঘোষনা দেয়। পরদিন বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে সরেজমিনে ওই মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা যায়, মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ রেখে মাদ্রাসা চত্বরে সামিয়া ও মাইক ঝুলিয়ে প্রভাষক এ এস আবু বক্কর সিদ্দিকে সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে। এতে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী অনুষ্ঠান বর্জন করে বাড়ি চলে যেতে দেখা যায়। কিছু শিক্ষককেও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বর্জন করতে দেখা যায়।
দুপুর ২টার দিকে প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে আসেন উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট মোকসেদুল হক। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন সহকারি শিক্ষক বলেন, ‘মাদ্রাসার নামে ২০ একর জমি ও ময়নাকুড়ি হাটে মাদ্রাসার অনেকগুলো দোকান ঘর থাকার কারণে আজকে অধ্যক্ষ’র চেয়ার নিয়ে শুরু হয়েছে টানাটানি। এই শেয়ার টানাটানির কারণে আমাদের শিক্ষকদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে বিভেদ। এই অধ্যক্ষ’র চেয়ার টানাটানির কারণে ঠিকভাবে মাদ্রাসার ক্লাস হচ্ছে না।
তিনি আরোও বলেন, ‘দ্রুত এটার একটা সমাধন না হলে পাঠদান ব্যাহত হবে এবং শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে । অভিভাবক সামছুল দোহা লাইজু বলেন, ‘ক্লাস বন্ধ করে নতুন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে সংবর্ধনা দিতে হবে কেন? আর তিনি কি কারণেই বা সংবর্ধনার যোগ্য তা আমাদের জানা নেই। আরেক অভিভাবক বাবু বলেন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ একেএম মামুন-অর-রশিদ স্যার ভালো তিনি আমাদের সন্তানদের  ভালোভাবে লেখাপড়া করান আমাদের ছেলেমেয়েরা সব সময় অধ্যক্ষ স্যারের প্রশংসা করেন।তিনি আরো বলেন, আমরা তো কখনো দেখিনি তার অনিয়ম দুর্নীতি তিনি ময়নাকুড়ি হাটের দোকানদারের কাছ থেকে ভাড়ার টাকা গ্রহণ করেন না এটাই কি তার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্যারের অপরাধ।
সভাপতির ছেলে ওবায়দুল হক অভিযোগ করে বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাদ্রাসার জমির টাকা লুটপাট করেছেন। একারণে আমরা সেই অধ্যক্ষকে মানি না। তাই অ্যাড হক কমিটি নতুন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়ায় আমরা খুশি হয়ে তাঁকে সংবর্ধনা দিচ্ছি। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ একে এম মামুন-অর-রশিদ বলেন, ‘আমি কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি করিনি । একটি স্বার্থলোভী মহল আমাকে সমাজের চোখে হেয় প্রতিপন্ন করতে উঠে পরে লেগেছে সেই স্বার্থলোভী মহলরা আমাকে মাদ্রাসা থেকে জোর করে সরানোর চেষ্টায় লিপ্ত হয়ে উঠেছে।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আরোও বলেন, অ্যাড হক কমিটিতে আমিসহ চারজন আছি । আমাকে ওই পদ থেকে সরাতে গেলে রেজুলেশনে তিনজন সদস্যের স্বাক্ষর লাগবে। ওই রেজুলেশনে সভাপতি ও শিক্ষক প্রতিনিধির স্বাক্ষর আবু বক্কর সিদ্দিককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষর  চেয়ারে বাসানোর জন্য বিভিন্নভাবে ওই স্বার্থলোভী মহল চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কিন্তু আমি এখনও বৈধ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে আছি ।
এ ব্যাপারে সভাপতি এ্যাডভোকেট মোকসেদুল হক বলেন, যেদিন মাদ্রাসায় সভার আয়োজন হয়েছিল সেদিন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ একেএম মামুন-অর-রশিদ ও অভিভাবক সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের স্থানে জৈষ্ঠ প্রভাষক আবু বক্কর সিদ্দিককে ওই চেয়ারে বসিয়ে সভা সফল করা হয়। এ কারণে নতুন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অবৈধ নয়।
মাদ্রাসা বন্ধ রেখে সংবর্ধনা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই আয়োজন আমি করিনি, মাদ্রাসার শিক্ষকরা করেছেন। আমি শুধু প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত  ছিলাম,মাদ্রাসা বন্ধ রেখে সংবর্ধনা নেওয়া নতুন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এ এস আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘জৈষ্ঠতার ভিত্তিতে আমি আট বছর আগেই অধ্যক্ষের দায়িত্ব পাওয়ার কথা। কিন্তু আমাকে ফ্যাসিস্ট আ.লীগ সরকারের আমলে নানাভাবে হত্যার ভয় দেখানো হয়েছিল। তাই আমি অধ্যক্ষের পদ নিইনি। বর্তমান ইউএনও স্যারের সহযোগিতায় আমি ওই পদে দায়িত্ব নিয়েছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি নতুন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হওয়ায় সভাপতি শিক্ষকরা আমাকে দিয়ে বরণ করেন। আর একদিন ক্লাস বন্ধ থাকায় কি এমনটা হয়েছে!
ভারপাপ্ত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. আরিফ মাহফুজ বলেন, বিধি মেনে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ নিতে পারবে অ্যাড হক কমিটি। যদি সেখানে তার কোনো ব্যত্যয় ঘটে তাহলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে তিনি বলেন, ‘মাদ্রাসা বন্ধ রেখে সংবর্ধনা দেওয়ার কোনো বিধান নেই। যদি এমন হয়ে থাকে তাহলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ওই মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করলে সব বুঝা যাবে। তিনি আরো বলেন তদন্তে এর সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিধি উপেক্ষা করে কাউকে অধ্যক্ষে’র চেয়ারে বসালে তা অবৈধ। কি কারনে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষর চেয়ারে আরেকজন বসে এ বিষয়েও তদন্ত করা হবে। #

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট