আরাফাত হোসেন, শিবগঞ্জ উপজেলা (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি: আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের কিরণগঞ্জ সীমান্তে দু‘ দেশের স্থানীয় নাগরিকদের মধ্যে ধাওয়া পালটা ধাওয়া ও ব্যাপক সংঘর্ষ ঘটেছে। সংঘর্ষে বেশ কিছু সংখ্যক বাংলাদেশী আহত হয়েছে। সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে বিএসএফ-বিজিবি পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আপাতত পরিস্থিতি কিছুটা শান্তি রয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে সীমান্তে বিজিবি টহল জোরদার করেছে।
কিরণগঞ্জ সীমান্তে এর সূত্রপাত হলেও বেলা ৩ টার দিকে তা চৌকা সীমান্ত পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এটি বিস্তার লাভ করে। আজ বেলা ১১.৩০ টার দিকে এই ঘটনার সূত্রপাত হয়। এরপর প্রায় বিকেল ৪ টার দিকে সংঘর্ষ থামলেও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে স্থানীয়দের। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিক আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে আহতের সঠিক সংখ্যা এখনও জানা যায়নি।
সন্ধ্যায় কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের পর এক ব্রিফিংয়ে ৫৯ মহানন্দা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক; লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ গোলাম কিবরিয়া বলেন, চৌকা ও কিরণগঞ্জ (নামোটোলা) ক্যাম্পের মাঝামাঝি সীমান্ত পিলার ১৭৭ বরাবর বাংলাদেশের ভেতরে কিছু আমগাছ ছিল। ওই আমগাছ কাটা নিয়ে ভারতীয় নাগরিক ও বাংলাদেশি নাগরিকের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। উত্তেজনাকর পরিস্থিতির একপর্যায়ে শূন্যরেখা বরাবর দুই দেশের নাগরিকেরা দাঁড়িয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে বিজিবির জনবল বাড়ানো হয় এবং তাঁরা ঘটনাস্থলে চলে আসেন। পরে বিকেল ৪.২৫ মিনিটে বিজিবি ও বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ে একটি পতাকা বৈঠক হয়। যেখানে এ ঘটনার জন্য বিএসএফের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করার পাশাপাশি গাছ কাটার বিষয়ে তাদের পক্ষ থেকে তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে কর্তৃৃপক্ষ।
বিজিবি ৫৯ মহানন্দা ব্যাটালিয়নের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা বলেন, এ ঘটনার সম্পূর্ণ বিচার না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা মাঠে আছেন। কেউ যাতে শূন্য রেখা অতিক্রম না করে এবং উত্তেজনা প্রশমিত করতে বিজিবি প্রস্তুত আছে। বিজিবির পাশে দেশপ্রেমিক জনগণও আছেন বলে জানিয়েছেন।
আহতের ব্যাপারে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ গোলাম কিবরিয়া বলেন, তাঁদের কাছে আহতের উল্লেখযোগ্য তেমন কোনো পরিসংখ্যান নেই। বিএসএফের পক্ষ থেকে হতাহতের বিষয়েও কিছু জানানো হয়নি। তারা (বিএসএফ) উচ্ছৃঙ্খল লোকজন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে, যেটা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন।
এ ব্যাপারে বিজিবি মহাপরিচালককে তাঁরা বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন। আশা করছি, বিজিবি ও বিএসএফ সদর দপ্তরের উচ্চপর্যায়ে এ ব্যাপারে কথা হবে।#