1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Rokon :
বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:২৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
৫ দফা দাবিতে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি শিক্ষক কর্মকর্তাদের চাঁপাইনবাবগঞ্জে র‍্যাব-৫ এর অভিযানে একাধিক মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার বাঘায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে পুড়লো চার  বাড়ি,ক্ষতি ১৫ লক্ষাধিক টাকা গোদাগাড়ীতে থানা পুলিশের অভিযানে ৩০০ গ্রাম হেরোইনসহ দুই মাদককারবারি গ্রেফতার শ্যামনগরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ বাঘায় মত বিনিমিয় সভায় চলনবিলের ঐতিহ্য রক্ষায়- ঝুঁকি ও বিকল্প পরিকল্পনায় রবীন্দ্র বিশ্ব বিদ্যালয় নির্মাণের দাবি বাঘায় টাইফয়েড টিকাদান ওরিয়েন্টেশন সভা, প্রায় ৪৭ হাজার শিশুকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে নাটোরে ডিবি পুলিশের অভিযানে মদ ও ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার তানোরে গেটকা প্রকল্পের উদ্যোগে নেতৃত্ব উন্নয়ন, জেন্ডার অন্তর্ভুক্তি ও জলবায়ু ন্যায়বিচার বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়কে ‌‘জুলাই প্রজন্মের বিজয়’ বললেন নবনির্বাচিত ভিপি সাদিক কায়েম ‎

পাবনায় চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া উপজেলার লাখো মানুষের প্রানের দাবী, বলজপুর-গদাই রূপসী-ধলাগাড়া রাস্তা পাকা করন ও ব্রিজ নির্মাণ

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৯৯ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

# এস এম এম আকাশ, চাটমোহর (পাবনা)উপজেলা প্রতিনিধিঃ  চলনবিলের দক্ষিণ পাড় তথা পাবনার চাটমোহর উপজেলার সীমান্ত ঘেষা গদাই রুপসী প্রান্ত সীমানার এইচবিবি রাস্তা পেরেলো সেই যে ভাঙ্গা রাস্তা, গর্ত রাস্তা আর খাল রাস্তা। পরিদর্শনে গিয়ে শুক্রবার দেখা মিললো কতটা ভোগান্তি নিয়ে সংশ্লিষ্ট জন সাধারনেরা চলাচল করে থাকেন। ভাঙ্গা রাস্তা নদী-নালা, খাল পার হয়ে পথ চলতে যেন ভালোই লাগে। সর্বক্ষণ মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে পথ চলতে হয়। মৃত্যুর মুখোমুখী হওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনাও রয়েছে অনেক সময় মৃর্ত্যুর মুখে পতিত হতেও হয়।

এ রাস্তায় চলাচলকারী যাত্রী সাধারন চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া উপজেলার বৃহৎ অংশের (বিলের মাঝে গড়ে উঠা বানভাসী) গ্রামের মানুষ চালাচল করে। মাথায় বোঝা,হাতে পুটলা নিয়ে মাইলের পর মাইল হেঁটে পথ চলা।শুষ্ক মওসুমে কষ্ট, দুর্ভোগের পাশাপাশি মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়েই এদের চলতে হয়, যুগের পর যুগ এভাবেই চলে আসছে। এ যেন শিরোনামে মৃত্যুপথের যাত্রী চলনবিল অঞ্চলের লাখ-লাখ মানুষ। গদাই রূপসী পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের একটি গ্রাম। গদাই রূপসী পূর্বপাড়া,গদাই রূপসী বাঁধপাড়া,গদাই রূপসী ধলাগাড়া নামে কয়েকটি পাড়া বা গ্রাম গড়ে উঠেছে। গ্রামগুলোর চারদিকেই বিল।বর্ষাকালে সাগরতু্ল্য জলরাশিতে থৈ-থৈ ভাসতে দেখা যায়। তখন নৌকাই একমাত্র যাতায়াতের বাহন।

এখন চারদিকে সরিষা ক্ষেত।হলুদ ফুলে ভরপুর চারিদিক।এ যেন সৃষ্টিকর্তা নিজ হাতে প্রকৃতি সাজিয়েছেন। আর এত সুন্দর প্রকৃতির মাঝে ভাঙ্গা,গর্ত আর ধ্বসে যাওয়া সড়ক। সড়কে ডেঙ্গাপাড়া বন্যার পানির তোড়ে সড়ক ভেঙ্গে খালে পরিনত। হয়েছে। ডেঙ্গাপাড়া রাস্তায় ব্রিজ না দিয়ে ছোট বক্স কালভার্ট দেওয়া হয়েছে । প্রশাসন বা প্রকৌশলীদের অদক্ষতারই প্রমান মেলে ডেঙ্গাপাড়া আসলে চলার পথে ডেঙ্গাপাড়া গ্রাম যেন চারদিকে বিল,ডেঙ্গা-ডোবা। মেঠো পথ ও সমতল রাস্তা। এ রাস্তার উল্লেখ যোগ্য অংশে মাটির কাজ করা হয়নি। সামনে মাটি শুণ্য রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে আছে একটি উঁচু পাকা ব্রিজ। ব্রিজের উভয় পাশে মাটি নেই। নেই ঢাল বা সংযোগ সড়ক সত্যিই উদ্বেগজনক! ব্রিজটি ব্যবহার বা উদ্বোধন করার আগেই রেলিং,সাইড ভেঙ্গে বিপজ্জনক অবস্থার সৃষ্টি করছে এলাকাবাসীদের জন্য ।

গদাই রুপসী পূর্বপাড়ার ব্রিজ এবং সংযোগ রাস্তা নির্মাণ কবে হবে তা কেউ বলতে পারে না। রাস্তা ধরে আরো কিছু দুর সামনে আরো একটি গ্রাম। এ গ্রামের নাম গদাই রূপসী বাঁধপাড়া। এখানে ধলাগাড়া নদীর পানি নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। আর বাঁধ ও বাঁধ ঘেসে বসতি গড়ে উঠেছে । তাই এ পাড়া বা গ্রামের নাম গদাই রূপসী বাঁধপাড়া। এখানে ধলাগাড়া নদীর উপর লম্বা বাঁশের চরাট সাঁকো। যুগ যুগ ধরে চরাট সাঁকোতেই তাদের যাতায়াত বা পারাপাড়ের একমাত্র মাধ্যম। যা আদিম যুগের যোগাযোগ ব্যবস্থা। পরিদর্শন কালে অনেকের সাথে আলাপ করে জানা যায় যে, অনেকে নেতা, এমপি, চেয়ারম্যান, সাংবাদিকরা বলেন এখানে ব্রীজ হবে কিন্তু দিন যায়, মাস যায়, বছর যায় ব্রীজ আর নির্মাণ হয়নি।

অনেকেই বলেন ছোটকাল থেকেই শুনে আসছি ব্রীজ ও পাকা রাস্তা হবে কিন্তু আজ পর্যন্ত বছরের পর বছর পার হলেও ব্রীজ আর পাকা সড়ক দেখতে পেলাম না আর পাবো কিনা তাও আমরা জানিনে। এমন আক্ষেপ প্রকাশ করেন কৃষক ফজলু মিয়া নামে জনৈক কৃষক বলেন যে, কষ্টে এবং ভয়ে ভয়ে পার হলাম ধলাগাড়া নদী। আবার কাঁচা রাস্তায় চলতে লাগলাম।সামনে আর একটি ভাঙ্গা।এটাও বন্যার পানির তোড়ে রাস্তা ধ্বসে গেছে।এখানে বর্তমানে শুকনা, তাই হেঁটেই পার হলাম।সামনে গিয়েই চাপা পাকা সড়ক পেলাম। শুক্রবার (সাতাশে ডিসেম্বর ২০২৪) সমাজ বাজার থেকে সোঁজা সাপ্টা রাস্তায় পথ চলা। দূরত্ব ৪ কিলোমিটার হতে পারে। এর পর নৌবাড়িয়া হয়ে ভাঙ্গুড়া উপজেলা সদরসহ দেশের সবস্থানেই যাতায়াত করা যায়।

রাস্তার বেহাল অবস্থার প্রেক্ষিতে পরিবেশ মানবাধিকার সম্প্রীতি স্লোগান নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠন গ্রিনপিস বাংলা-র পাবনা জেলা শাখার সভাপতি,কবি ও গবেষক- প্রভাষক এস এম মনিরুজ্জামান আকাশ বলেন, সরকার কোন কাজের তদারকি (প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে)করে থাকে তার জনপ্রতিনিরা! কিন্তু জনপ্রতিনিধিরা যদি অর্থ তদারকি না করেন বা প্রকল্প গ্রহন করতে অস্বীকার করেন তাহলে তো আর কিছুই বলার থাকেনা। বলজপুর-গদাই রূপসী-নৌবাড়িয়া সড়ক পর্যন্ত রাস্তাটি পাকা করণ এবং প্রয়োজনীয় স্থানে ব্রিজ নিমাণ করা জরুরী প্রয়োজন। এ রাস্তাটি পাকা করা হলে চাটমোহর ও ভাঙ্গুড়া উপজেলার লাখো মানুষের চির দূর্ভোগের অবসান হবে। যাতায়াতের দূরত্ব,সময় এবং অর্থের অপচয় হ্রাস পাবে। কৃষক তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাবে। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সুদৃষ্টি কামনা করছি।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট