মোঃ মমিনুল ইসলাম মুন, বিশেষ প্রতিনিধি: ফ্যাসিস্ট বিদায় হলেও পুলিশ বিভাগে এখনো ফ্যাসিস্টদের দোসর বিচরণ করছেন। অনেক পুলিশ অফিসার এখনো সাধারণ মানুষের জন্য মুর্তিমান আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনি একজন বগুড়ার মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এ.এস.আই শাহজাহান আলী।
এলাকায় নিরীহ মানুষকে হয়রানি ভয়ভীতি ও ওয়ারেন্ট ছাড়া গ্রেফতার করে নির্যাতন করে চলেছেন তিনি। তার ভয়ে মানুষের সাধারণ জীবনযাপন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছে। এছড়াও ভুয়া নম্বর প্লেট বসিয়ে চোরাই মোটরসাইকেল ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ ওঠেছে। এ নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়া প্রতিবেদন প্রকাশ হলেও নেয়া হচ্ছে না কোন ব্যবস্থা। বগুড়া পুলিশ সুপার রহস্যজনক ভুমিকা পালন করছে।
জানা যায়, গত ৯ মে এএসআই শাহজাহান শিবগঞ্জ থানার ৯নং দেউলী ইউনিয়নের লক্ষ্মীকোলা সোনারপাড়া গ্রামের ওবাইদুলের বাড়ীতে রাত ১১টার দিকে অভিযান চালায়। ওয়ারেন্ট আছে বলে তাদেরকে আটক করেন। তাৎক্ষনিক ওবায়দুল আদালতের জামিনের রিকল কাগজ দেখালেও তাদেরকে ছাড়েন না। এমনকি থানায় জমা দেয়া আছে বললেও তাতে রাজি হন না। বিএনপির ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন এ.এসআইকে রিকলের বিষয়টি জানালেও ইউপি চেয়ারম্যানের সাথেও অশোভন আচরণ করেন। মহিলা পুলিশ না নিয়েও এএসআই শাহজাহান মহিলা আসামীর হাত ধরে টানাটানি ও মারধর করে হ্যান্ডকাফ পড়িয়ে থানায় নিয়ে আসেন। ভোররাতের দিকে ভুক্তভোগীরা রিকলের কাগজ নিয়ে চ্যালেঞ্জ করলে খরচ বাবদ ২৫০০ টাকা ও সিএনজির বিল খরচ বাবদ ৭০০ টাকা ঘুষ গ্রহণ করে এএসআই শাহজাহান আলীকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট, অনলাইন মিডিয়া প্রতিবেদন প্রকাশ হলেও বগুড়ার পুলিশ সুপার মো. জেদান আল মুসা কোন ব্যবস্থা গ্রহন করছেন না। এ নিয়ে সাধারণ মধ্যে না প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
ভুক্তভোগী ওবায়দুল বলছেন, ফাড়ী থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ী গিয়ে দেখেন বিছানার তোষকের নিকট থাকা ভাঙ্গারীর ব্যবসা করা ৩০ হাজার টাকাও নিয়ে গেছে এএসআই শাহজাহান আলী। ঘটনাটি সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে জানাজানি হলে এএসআই শাহজাহান স্থানীয় কতপিয় ব্যক্তির মাধ্যমে তাদেরকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। এমনকি ভুক্তভোগী পরিবারটিকে অন্য মামলায় ফাসানো হবে বলেও বিভিন্ন লোকজনের মারফত হুমকি দিচ্ছে এ.এসআই শাহজাহান।
এ অবস্থায় মুর্তিমান আতঙ্ক এ.এসআই শাহজাহান আলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল। এছাড়াও এ.এস.আই শাহজাহান আলী মোকাতলা তদন্ত কেন্দ্রে যোগদানের পর থেকেই সাধারণ মানুষকে বিনা কারণে হয়রানি করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়াও এএসআই শাহজাহান দিনাজপুর ল-১১-৪৮৯০ নম্বরের প্লেট বসিয়ে একটি মোটরসাইকেল ব্যবহার করছে। যা ভুয়া নম্বর। অনুসন্ধানে দেখা গেছে ওই গাড়ীর নম্বরের মালিক দিনাজপুর জেলার রমজান আলীর ছেলে রুবেল আল হাসানের নামে রেজিষ্টেন করা। সেটির ইঞ্জিন নং এফএইচজেটডব্লিউই৮৬০০৬৩। আর এএসআই শাহজানের গাড়ীর ইঞ্জিন নং ডিএইচএক্সসিএমএইচ২১২৪৮। মুলত: এএসআই শাহজাহান চোরাই গাড়ীতে অন্যের গাড়ীর নেমপ্লেট বসিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। পুলিশ বলে কেউ সন্দেহ বা আটক করছে না। বিষয়টি সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগীসহ মোকামতলাবাসী।
এ বিষয়ে বগুড়ার পুলিশ সুপার মো. জেদান আল মুসার সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি মুঠোফোন রিসিভ করেননি।#