# মেহেরুল ইসলাম মোহন, লালপুর, নাটোর গ্রীষ্মের দাপ দাহে পুড়ছে মাটি পুড়ছে দেশ। পুড়ছে মানুষ পুড়ছে মাঠের ফসল। দেশের সবথেকে উষ্ণতম স্থান লালপুর। বর্তমানে প্রচন্ড খরায় জনজীবন বিপর্যস্ত। মানুষ ছুটছে পানির লাগি ছায়ার লাগি। বেলা বাড়ার সাথে সাথে অগ্নি বর্ষণ শুরু হয়। মানুষ স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে অক্ষম। রাস্তাঘাটে লোক দেখা যায় না। নেহাত প্রয়োজন ছাড়া কেউ রাস্তায় বের হয় না। গৃহপালিত গবাদি পশুর খাবার নেই সারা মাঠ জুড়ে।
পানীয় জলের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে এই কলগুলিতে পানি উঠে না। পানি ছাড়া জীবন বিপর্যস্ত। জীবনের সকল কাজেই পানির প্রয়োজন। পানির অভাবে চাষীদের চাষ করা ব্যাপক অসুবিধা। ফসল উৎপাদনের অভাবে ভবিষ্যতে খাবারের অভাব দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।প্রকৃতিতে পানির জন্য হাহাকার। তাই বৃষ্টির আশায় নাটোরের লালপুর উপজেলার বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের নাগশোষা গ্রামে বাড়ি বাড়ি চাল ডাল তুলে ধুমধাম করে ব্যাঙের বিয়ে দিয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। সোমবার (২২ এপ্রিল-২৪) দুপুরে এ আয়োজন করা হয।
আয়োজকরা জানান, তীব্র গরমে মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা। টিউবওয়েলে তেমন পানি উঠছে না। জমিতে চাষাবাদের জন্য নেই পানি । ইতোমধ্যে আম ও লিচুর গুটি ঝরে পড়ছে। একারণে যাতে বৃষ্টি হয়, সে জন্য ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সুজিত কুমার ও রবীন্দ্রনাথ দাস বলেন, সনাতন রীতি অনুযায়ী অনেক বছর ধরে এই প্রথা চালু আছে। অনাবৃষ্টি হওয়ায় এই গ্রামের সবাই মিলে ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া হয়। আমাদের কাছে এক প্রকার বিশ্বাস, ব্যাঙের বিয়ে দিলেই বৃষ্টি হবে। সেই আশাতেই ব্যাঙের বিয়ে দিয়ে ভগবানের কাছে বৃষ্টি প্রার্থনা করা হয়েছে।#