আবু রায়হান রাসেল, নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁ জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজি নং ২৩৮) বর্তমান মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে দিয়ে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকদের একটি অংশ। আজ মঙ্গলবার বিকেলে নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল আলম স্বপন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০২০ সালের মে মাসে নওগাঁ জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তিন বছর মেয়াদী কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২৩ সালের মে মাসে। সে হিসাবে প্রায় ২৬ মাস ধরে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে চলছে জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন। কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বিভিন্ন সময়ে সাধারণ শ্রমিকেরা নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব গঠনের দাবি জানিয়ে আসছেন। নির্বাচনের দাবিতে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। কিন্তু বর্তমান অবৈধ কমিটির নেতারা নির্বাচন না দিয়ে ফ্যাসিস্ট কায়দায় জোর করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছে।
বর্তমান কমিটির নেতাদের বিরুদ্ধে জোর করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করাসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
লিখিত বক্তব্যে আরও উল্লেখ করা হয়, বর্তমান কমিটির বেশ কিছু নেতা পতিত আওয়ামী শ্রমিক লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তারা পতিত আওয়ামী সরকারের মতো ফ্যাসিস্ট কায়দায় মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পরও ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছে। তাদের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত সাধারণ শ্রমিকেরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছে। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে আগামী ১ মের মধ্যে বর্তমান মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে দিয়ে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানানো হচ্ছে। অন্যথায় যেকোনো সময় অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গত ১৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত মানববন্ধনের লক্ষ্যে মাইকিং করার সময় আগের দিন সন্ধ্যার দিকে অবৈধ কমিটির নেতাদের লোক মাইক ভাংচুর, অটো রিক্সার ব্যাটারী ছিনতাই এবং অটো রিক্সার চালককে মারধর করে। ওই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করার অভিযোগ করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো আইনি উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য রাজু আহমেদ মিঠু, আলমগীর কবির, মামুন হোসেন মিলন, গোলাম রাব্বানী, আরিফুল ইসলাম, সাজু আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। #