1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Rokon :
বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
সংবাদ প্রকাশের জেরে রাজশাহীতে ৬ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা শিবগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রী কেয়ার মরদেহ মিলল পুকুরে, শোকে স্তব্ধ গ্রামবাসি সাতক্ষীরায় সামাজিক মূল্যবোধ, কৃষি ও মৎস্য চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ ভুয়া সেনা সদস্য পরিচয়ে প্রতারণা, অপহরণ ও ধর্ষণের মূলহোতা গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৫ সাতক্ষীরার আশাশুনিতে সড়কের পাশ থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার তানোরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা গোদাগাড়ীতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠান স্থগিত, দুপক্ষের সংঘর্ষে পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি টি.আর বরাদ্দে দুর্নীতি: কাগজে কাজ শেষ, মাঠে রাস্তা নেই নওগাঁর রাণীনগরের মিরাট হতে গুমারদহ ব্রীজ পর্যন্ত সড়কের বেহাল দশা রংপুরের বদরগঞ্জে ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণে  সীমাহীন দুর্নীতি

তানোর বিল কুমারী বিলে অবৈধ  চায়না রিং জাল, দেশি মাছের অস্তিত্ব সংকটে

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫
  • ১৬১ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

৥ মোঃ মমিনুল ইসলাম মুন, বিশেষ প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিল কুমারী এখন দেশি মাছের জন্য মৃত্যুকূপে রূপ নিচ্ছে। প্রতিদিন ভোর থেকে রাত কোনো বিরতি নেই, “চায়না দুয়ারি” নামে পরিচিত অবৈধ রিং জাল পেতে স্থানীয় একটি চক্র নির্বিচারে ধ্বংস করছে বোয়াল, পাবদা, গুঁচি, ছেঁড়ি, ময়া, ট্যাংরা, টাকিসহ অসংখ্য দেশি প্রজাতির রেণু ও পোনা। ফলে বিলের স্বাভাবিক প্রজনন চক্র ভেঙে পড়ছে, আর খাদ্যশৃঙ্খলেও দেখা দিচ্ছে নেতিবাচক প্রভাব।

স্থানীয় জেলে ও পরিবেশকর্মীদের অভিযোগ, ছয় মাসের বেশি সময় ধরে এই জাল বাণিজ্য চলে আসছে। বিলের পশ্চিম পাশে  দাঁড়িয়ে থাকা জেলে রহিম উদ্দিন বলেন, “পাঁচ‑দশ দিন পর পরই মাছের ডিম ছাড়ার মৌসুম। অথচ রিং জালে আটকে রেণুগুলো মরে যাচ্ছে আমরা হাতে তুলে ফেলার আগেই নিস্তেজ হয়ে যায়। আর বড় মাছেরও বাঁচার উপায় নেই।”

চায়না দুয়ারি রিং জাল কী? ব্যাস ২–৩ মিটার পর্যন্ত গোলাকার প্লাস্টিক রিং ও চিকন নেটের সংমিশ্রণে তৈরি এই জাল পানির নীচে সুড়ঙ্গের মতো ছড়িয়ে থাকে। মাঝখানে আটকা পড়া মাছ বেরোবার পথ খুঁজে পায় না। আইন অনুযায়ী ৪.৫ সেন্টিমিটারের কম ফাঁসের জাল ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, অথচ এসব রিং জালের ফাঁস মাত্র ১–১.৫ সেন্টিমিটার; সব বয়সের মাছই আটকায়।২০১৯ এর ‘মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন’ অনুযায়ী, এ ধরনের জাল রাখাও দণ্ডনীয় অপরাধ।

প্রশাসনের নীরবতা বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কাছে অভিযোগ করলেও সাড়া মেলেনি বলে জানান স্থানীয় পরিবেশবাদী রহমান। এ বিষয়ে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)‑এর মন্তব্য নেওয়ার জন্য ফোন দেওয়া হলে তিনি রিসিভ না করায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে রাজশাহী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা হা বলেন, “অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।

Open photo

রিং জাল সবক্ষেত্রেই নিষিদ্ধ।” ছোট মাছ না থাকলে হাঁস, বক, মাছরাঙাসহ জলচর পাখির খাদ্যচক্র ভেঙে পড়ে। এসব রিং জাল দ্রুত জব্দ ও ধ্বংস মৎস্য আইন প্রয়োগকারী বাহিনীকে নিয়মিত অভিযান চালাতে হবে। বিল কুমারীকে ‘সংরক্ষিত অভয়াশ্রম’ ঘোষণা মাছের প্রজনন মৌসুমে (মার্চ‑জুলাই) সবধরনের জাল নিষিদ্ধ রাখতে হবে। সচেতনতা ও বিকল্প জীবিকা স্থানীয় জেলেদের ক্ষুদ্রঋণ ও অবাধ মৎস্যচাষে উৎসাহ দিয়ে অবৈধ জাল বন্ধে উদ্বুদ্ধ করা।

পরিবেশবিদদের আশঙ্কা, এখনই ব্যবস্থা না নিলে দুই‑তিন বছরের মধ্যে বিল কুমারী থেকে দেশি বোয়াল বা পাবদার অস্তিত্ব হয়তো শুধুই স্মৃতি হয়ে থাকবে। আইন রয়েছে, প্রযুক্তিও আছে; দরকার শুধু প্রশাসনিক সদিচ্ছা ও সামাজিক সচেতনতা। ধরা পড়া রেণু‑পোনার আনুমানিক হার: দিনে ১৫–২০ কেজি সর্বোচ্চ সাজা (মৎস্য সুরক্ষা আইন, ২০১৯): ২ বছর কারাদণ্ড বা ৫০,০০০ টাকা জরিমানা, বা উভয় দণ্ড।

বিল‑পারের আবছা ভোরে যখন সবুজ কুয়াশার আড়ালে জাল পেতে বসে কিছু অসাধু জেলে, তখন দূর থেকে ভেসে আসে বক‑রাঙার করুণ ডাক। প্রশ্ন জেগে থাকে—প্রশাসনের কান কি ওই ডাক পর্যন্ত পৌঁছুবে?#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট